কুমিল্লার হোমনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। গত এক মাসে আগের মাস ও বছরের তুলনায় সর্বাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবর মাসে ২০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছিলেন; এর মধ্যে ১২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং বর্তমানে ভর্তি আছেন ৮ জন।
চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে কোনো আক্রান্তের খবর না থাকলেও মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৭৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্থানাভাবের কারণে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভেতরে একটি কর্নার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নারী ও পুরুষ দুইটি ওয়ার্ডের ভেতরেই অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে আলাদাভাবে মশারী টানিয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে ভর্তি রোগীদের সঙ্গে থাকা স্বজনদের সচেতনতার জন্য কর্মরত নার্সগণ তাদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন।
হাসপাতালের বাউন্ডারির ভেতরে একটি ড্রেন ও একটি ডাস্টবিন খুবই ভয়াবহ অবস্থায় দেখা গেছে। এর চারপাশে অজস্র পলিথিনের সঙ্গে বাসাবাড়ির ফেলা বর্জ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ড্রেনের অবস্থাও একই। এই ডাস্টবিন ও খোলা ড্রেনে মশার লার্ভা জন্মের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শহিদুল্লাহ বলেন, হাসপাতাল ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখতে পৌরসভার সঙ্গে আলোচনা চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান জানান, কীট ও ওষুধের চাহিদা পাঠানো হয়েছে এবং সচেতনতা কার্যক্রম চলছে।
পৌর প্রশাসক আহাম্মেদ মোফাচ্ছের বলেন, হোমনা পৌর এলাকায় ডেংগুর হটস্পট চিহ্নিত করে ফগার মেশিনে স্প্রে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহযোগিতায় সব ওয়ার্ডে একযোগে ড্রেন পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। জনগণকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ, সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার এবং বংশবৃদ্ধি সহায়ক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক ও শাস্তির আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে।