যাবজ্জীবন বা দীর্ঘমেয়াদি সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সময় কারাভোগ করেছেন, এমন ৩৭ জন বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে বন্দীদের তালিকা অনুমোদন করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মামলার প্রকৃতি, কারাজীবনের আচরণ, বয়স ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কারাবিধির ৫৬৯ ধারার আলোকে এসব বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত আগামী এক-দুই দিনের মধ্যেই কার্যকর হবে।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, “যাদের সাজা ৩০ বছর বা যাবজ্জীবন ছিল, তাদের মধ্যে যারা রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছেন, তাদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আচরণ ও বয়স বিবেচনায় সরকার ৩৭ জন বন্দীর অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও সাত বা ছয় বছর—সবই মওকুফ করে তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।” যদিও প্রস্তাবে নারী-পুরুষ উভয় বন্দী অন্তর্ভুক্ত ছিল, চূড়ান্ত তালিকায় কোনো নারী বন্দীর নাম নেই।
মুক্তি পাওয়া অধিকাংশ বন্দী হত্যা মামলার আসামি ছিলেন এবং তারা দেশের বিভিন্ন কারাগারে দীর্ঘ সময় সাজা ভোগ করেছেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিন পর মুক্ত জীবনে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন তারা।