সিলেটে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সাবেক মেয়র

মনোনয়ন না পেয়ে বিকল্প প্রস্তাবে ‘না’ আরিফুলের

এফএনএস(সিলেট): | প্রকাশ: ৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
মনোনয়ন না পেয়ে বিকল্প প্রস্তাবে ‘না’ আরিফুলের

সিলেট-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে তাঁকে ঢাকায় ডাকা হয়। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে জরুরি তলবে ঢাকায় যান সিলেটের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী। দুপুরে তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে একাধিক দফা বৈঠক করেন।

সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি নিউজ পোরটালকে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “আমার অবস্থান আমি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি। কেন্দ্র যা ভালো মনে করেছে, সেটির বিরোধিতা করার কিছু নেই।”

তাঁর ঢাকায় তলবের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সিলেটজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন ওঠে-“আরিফুল হক চৌধুরী কী করবেন?”

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমি সিলেটের মানুষ, সিলেটের হয়েই থাকতে চাই।”

মনোনয়ন নিয়ে আপাতত কোনো মন্তব্য করতে রাজি নন বলেও জানান তিনি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরিফুল হককে এই আলোচনার জন্য ডাকা হয়।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হওয়ার আশা করেছিলেন তিনি। কিন্তু সোমবার ঘোষিত তালিকায় এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, যিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে একই আসনে দলের প্রার্থী ছিলেন। তাঁর বাবা, প্রয়াত খন্দকার এম. এ. মালিক, ছিলেন এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।

মনোনয়ন না পেয়ে আরিফুল হক কিছুটা হতাশ হয়েছেন বলে জানা গেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন এবং মনোনয়ন নিশ্চিত বলে ধারণা করছিলেন।

মনোনয়ন তালিকা প্রকাশের পর সোমবার রাতেই কুমারপাড়াস্থ তাঁর বাসায় নেতাকর্মীদের ভিড় জমে। অনেকেই প্রস্তাব দেন-সিলেট-৪ আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় তিনি চাইলে সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তবে আরিফুল হক স্পষ্টভাবে জানান, তিনি অন্য কোনো আসনে প্রার্থী হবেন না।


দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “কেন্দ্র চায় আরিফুল ভাই অন্য আসন থেকে লড়ুন, কিন্তু তিনি তাতে রাজি নন। তিনি বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”

সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিলেট-১ আসনের প্রার্থী বাছাইয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। মুক্তাদিরের পূর্ব অভিজ্ঞতা, সাংগঠনিক ভূমিকা এবং পারিবারিক রাজনৈতিক ঐতিহ্য বিবেচনায় এবারও তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে ১৪টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে