জোট নয় সমঝোতায় আসন বন্টন: জামায়াত আমীর

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জোট গঠনের কোনো পরিকল্পনা নেয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, “আমরা কোনো জোট করার সিদ্ধান্ত নেইনি, জোট করবও না। আমরা নির্বাচনী সমঝোতা করবো। শুধু ইসলামী দল নয়, দেশপ্রেমিক ও প্রতিশ্রুতিশীল যারা আছেন তারা এতে যুক্ত হচ্ছেন। আগামীতে আরও অনেক দল এই নির্বাচনী সমঝোতায় সংযুক্ত হবেন। আমরা সবাইকে নিয়ে দেশ গড়তে চাই।”

বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তৃতীয়বারের মতো দলের আমীর নির্বাচিত হওয়ার পর সিলেটে ফেরার পথে বিমানবন্দরে দলীয় নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায় স্থানীয় জামায়াত নেতাকর্মীরা।

গণভোট প্রসঙ্গে জামায়াতের অবস্থান স্পষ্ট করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “গণভোট আগে না হলে জাতীয় নির্বাচন কিসের ভিত্তিতে হবে? তাই আমরা চাই গণভোট আগে হোক এবং জুলাই সনদ আইনি ভিত্তি পাক।”

‘সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ নিজেরাই তো নির্বাচন চায়নি। তাদের ওপর জোর করে নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। তারা যে নির্বাচনে বিশ্বাসী-সেটা তারা প্রমাণ করতে পারেনি। এখন তারা যা চায় না সেটা তাদের ওপর চাপিয়ে দিলে সেটি অন্যায় হবে।”

জনগণের উদ্দেশ্যে জামায়াতের আমীর বলেন, “অনেক ত্যাগ ও কোরবানির মধ্য দিয়ে দেশে পরিবর্তন এসেছে। গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। দুঃশাসনের কারণে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। তাই দুঃশাসনের সব কারণ দূর করতে হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হলো দুর্নীতি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। আমরা সবাই একসাথে বলবো-‘আমি দুর্নীতি করবো না, কাউকে করতে দেব না।’ তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।”

পি.আর. পদ্ধতি ও ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হচ্ছে একাধিক দল ও আদর্শের সহাবস্থান। আমরা মনে করি আমাদের পি.আর. পদ্ধতির দাবি একটি শ্রেষ্ঠ দাবি। জনগণ যদি মনে করে ভবিষ্যতে যেন কোনো ফ্যাসিবাদী শাসন ফিরে না আসে, তাহলে পি.আর. পদ্ধতি প্রয়োজন। আমরা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করবো না। সবাইকে নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায় করে ছাড়বো ইন শা আল্লাহ।”