সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা ব্র্যাক এক্সেলারেটেড এডুকেশন মডেল বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধাবার (৫ নভেম্বর) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ব্র্যাক সিলেটের সহকারী জেলা প্রতিনিধি জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সিলেট আরবান কর্মসূচির সংগঠক আরিফ আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জর্জ মিত্র চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবেদ হোসেন ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. জিলানী। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দরবস্ত ইউপির সদস্য আব্দুর রকিব উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির উপজেলা ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম। তিনি জানান, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস দেশের সব স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতায় ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি "ইএমডিসি" প্রকল্পের আওতায় সুবিধাবঞ্চিত ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ১০ মাস মেয়াদি এক্সেলারেটেড এডুকেশন মডেল চালু করে।
এই মডেলের মধ্যে রয়েছে ৪ মাসের “ক্যাচ-আপ”কম্পোনেন্ট এবং ৬ মাসের শ্রেণিভিত্তিক শিখন প্রক্রিয়া, যা শিক্ষার্থীদের পূর্বের শেখার ঘাটতি পূরণ করে পুনরায় আনুষ্ঠানিক বিদ্যালয়ে ফিরতে সহায়তা করে।
বর্তমানে প্রকল্পটির চতুর্থ বর্ষ চলছে। ইতিমধ্যে দেশের ১,৯৫০টি ব্র্যাক স্কুল থেকে প্রায় ৪৮,৭৫০ শিক্ষার্থী এই মডেলে শিক্ষা সম্পন্ন করেছে। আরও প্রায় ৩০,০০০ শিক্ষার্থী ১,২০০টি ব্র্যাক স্কুলে অধ্যয়নরত রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্প শেষে ৫,৯০০ এককক্ষবিশিষ্ট স্কুলের মাধ্যমে প্রায় ১,৪৭,৫০০ শিক্ষার্থী ১০ মাস মেয়াদি এক্সেলারেটেড শিক্ষা লাভ করবে।
জৈন্তাপুর উপজেলায় বর্তমানে ৩৪টি স্কুলে ৮৫০ জন শিক্ষার্থী এই মডেলে শিক্ষা গ্রহণ করছে। এর মধ্যে খান চা-বাগান, হাবিবনগর চা-বাগান ও লালাখাল চা-বাগানের বিদ্যালয়গুলো উল্লেখযোগ্য।