ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মুসলিম মিয়া ও ইউসুফ আলী নামের দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর এলাকায়। গতকাল শুক্রবার ভোরে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইল সদরের বড্ডাপাড়া রাহমাতুল্লিল আল-আমীন দাখিল মাদ্রাসার সামনে মর্মান্তিক এই দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় জনতা ঘাতক ট্রাক ও চালক রায়ানকে আটক করেছেন। রায়ানের বাড়ি যশোহর জেলার মনিরামপুরে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকেই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল অংশে তীব্র যানজট। যানজট এড়াতে যশোর জেলার মনিরামপুর থেকে সিলেট জেলার লামাগাজীগামী মাছ বোঝাই একটি ট্রাক (নম্বর- যশোর-ট-১১-৬০৯৫) সরাইল সদর হয়ে যাচ্ছিল। গতকাল ভোর ৬টা ২০ মিনিটে বড্ডাপাড়া এলাকার রাহমাতুল্লিল আল-আমীন দাখিল মাদ্রাসার সামনে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশার সাথে ট্রাকটির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকট শব্দে ছিটকে পড়েন অটোরিকশা চালক ও যাত্রী। একজনের দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে মুসলিম মিয়া (৪৫) ও একই ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামের ফকির বাড়ির কাছম আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (৫৫)। স্থানীয় জনতা ঘাতক ট্রাক ও চালক রায়হানকে আটক করেন। নিহতের স্বজনরা জানায়, ইউসুফ অটোরিকশা চালক আর মুসলিম মিয়া সবজি বিক্রেতা। পাইকারী মুল্যে সরাইল বাজার থেকে সবজি ক্রয়ের জন্য মুসলিম মিয়া ভোরে ইউসুফের রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। দূর্ঘটনার কারণে সাড়ে ৬টার পরই সরাইল-নাসিরনগর সড়কেও তীব্র যানজট লেগে যায়। দূর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। সকাল ৮টার দিকে সরাইল থানার পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুর্শেদুল আলম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার ও ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। ট্রাকের চালককে আটকের কথাও জানিয়েছেন তিনি।