শীত এলেই চুলে খুশকির সমস্যা যেন বেড়েই যায়। ঠান্ডা আবহাওয়া, শুষ্ক বাতাস ও কদিন পরপর মাথা ধোয়ার অভ্যাস-সব মিলিয়ে খুশকি দানা বাঁধে মাথার ত্বকে। কিন্তু আগেভাগেই যত্ন নিলে এই অস্বস্তিকর সমস্যা অনেকটাই রোধ করা সম্ভব।
চুলের ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনুন
শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়, ফলে মাথার ত্বক শুকিয়ে খুশকি হয়। নিয়মিত নারকেল, অলিভ বা বাদাম তেল হালকা গরম করে মালিশ করুন। এটি শুধু খুশকি কমায় না, চুলকানিও রোধ করে।
অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন
সপ্তাহে অন্তত দুইবার জিঙ্ক পাইরিথিওন বা কেটোকোনাজলযুক্ত অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তবে প্রতিবার নয়, মাঝে মাঝে মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের স্বাভাবিক তেল ভারসাম্য বজায় থাকে।
গরম পানি নয়, কুসুম গরম পানি
অনেকে শীতে গরম পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলেন-এতে মাথার ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন এবং শেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, এতে চুলের কিউটিকল বন্ধ থাকে।
পুষ্টিকর খাবার খান
ভিটামিন বি, জিঙ্ক, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-এই উপাদানগুলো খুশকি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। খাবারে মাছ, ডিম, বাদাম, দই ও শাকসবজি রাখুন।
মানসিক চাপ কমান
স্ট্রেসের সঙ্গে খুশকির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম ও রিল্যাক্সেশন প্র্যাকটিস-যেমন মেডিটেশন বা যোগব্যায়াম-চুলের স্বাস্থ্যে ভালো প্রভাব ফেলে।
টুপি বা হেলমেট ব্যবহারে সতর্কতা
দীর্ঘ সময় টুপি বা হেলমেট পরে থাকলে মাথার ত্বকে ঘাম জমে ব্যাকটেরিয়া বাড়ে। তাই ব্যবহার শেষে মাথা ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।