সুজানগরের চরাঞ্চলে আবাদ করা মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

এফএনএস (সুজানগর, পাবনা) : | প্রকাশ: ১১ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
সুজানগরের চরাঞ্চলে আবাদ করা মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

পাবনার সুজানগরের চরাঞ্চলের জমিতে আগাম আবাদ করা মুড়িকাটা পেঁয়াজের এবার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজের বাজারও বেশ ভাল। এতে পেঁয়াজ চাষীদের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। 

সরেজমিন চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিশাল বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল জুড়ে কেবল মুড়িকাটা পেঁয়াজ আর পেঁয়াজ শোভা পাচ্ছে। মাঝে মধ্যে অন্য ফসল আবাদ করা হলেও তার পরিমাণ খুবই কম। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় ১৬‘শ ৭০হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ করা হয়েছে। আগামী ১৫/২০দিনের মধ্যে ওই পেঁয়াজ উঠানো শুরু হবে। উপজেলার গোপলপুর গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন বর্ষার পানিতে চরাঞ্চলের জমিতে পলি জমে মাটির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ জমির মুড়িকাটা পেঁয়াজের ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আর ১৫/২০দিন পরেই উপজেলার চরাঞ্চলের অধিকাংশ জমির মুড়িকাটা পেঁয়াজ ওঠা শুরু হবে। শেষ মুহূর্তে পেঁয়াজ চাষীরা মাঠে মাঠে পেঁয়াজ পরিচর্যা করছেন। বর্তমানে পেঁয়াজের বাজারও ভাল। এতে পেঁয়াজ চাষীদের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। স্থানীয় পেঁয়াজ চাষী মোতালেব হোসেন বলেন উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে প্রতিমণ মৌসুমী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮‘শ থেকে ৪হাজার টাকা দরে। বর্তমান এ বাজার অব্যাহত থাকলে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষীরা বেশ লাভবান হবে। তবে বাজারে ধস নামলে পেঁয়াজ চাষীদের লোকসান হবে। উপজেলার চরবিশ্বনাথপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী মোঃ জিয়া বিশ্বাস বলেন এ বছর ১বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ করতে সার, বীজ ও শ্রমিকসহ খরচ হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হতে পারে ৫০/৫৫মণ। পেঁয়াজের আবাদ খরচ এবং উৎপাদনের হিসাব অনুযায়ী প্রতিমণ মুড়িকাটা পেঁয়াজ কম পক্ষে ২৫‘শ থেকে ৩হাজার টাকা বিক্রি করতে না পারলে পেঁয়াজ চাষীদের উৎপাদন খরচই উঠবেনা। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের চেয়ে এ বছর মুড়িকাটা পেঁয়াজের ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করছি পেঁয়াজ চাষীরা বাজারও ভাল পাবেন। তবে বর্তমান বাজার কিছুটা হলেও  হ্রাস পেতে পারে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে