চাঁদপুর দোকান ঘর এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
এফএনএস (মিজানুর রহমান; চাঁদপুর) :
চাঁদপুর সদর উপজেলার দোকান ঘর এলাকা হতে সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহারের জন্য লুকিয়ে রাখা
০৫টি পাইগান, ০১টি চাইনিজ কুড়াল এবং ০৪টি রামদা উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী।বুধবার এই দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
চাঁদপুর আর্মি ক্যাম্পের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ হতে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে চাঁদপুর জেলায় সকল দুষ্কৃতিকারী, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ এবং অবৈধ অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ১২ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ ২:৩৫ টার সময় স্থানীয় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চাঁদপুর সদর আর্মি ক্যাম্প হতে তালিকাভুক্ত অপরাধী এর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত যৌথ অভিযানে চাঁদপুর সদর উপজেলার দোকান ঘর এলাকা থেকে ০৫টি পাইগান, ০১টি চাইনিজ কুড়াল এবং ০৪টি রামদা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উদ্ধারকৃত দ্রব্যসামগ্রী চাঁদপুর সদর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
নড়াইল শহরের সুলতানমঞ্চে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নড়াইল সদর থানার আয়োজনে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন-পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, ক্রীড়া, সংস্কৃতি, ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জেলা নড়াইল। আপনারা যদি মারামারি ও কাইজ্যা করেন, তবে ভবিষ্যত প্রজন্ম ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে। আপনারা নতুন প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে না দিয়ে, তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দিন। আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী সবসময় আপনাদের পাশে আছে। আমরা দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতে চাই। কোন অন্যায়কারীকে ছাড় দেয়া হবে না। কেউ অন্যায় করলে তা আইনি প্রক্রিয়ায় শক্ত হাতে দমন করা হবে।
পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন. আপনারা সিসি ক্যামেরা স্থাপন করবেন। রাতে পুলিশের সাথে সমন্বয় করে নাইট গার্ড (নৈশ প্রহরী) রেখে বাজারের নিরাপত্তা বৃদ্ধির অনুরোধ রইল। সাধারণ জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারেন এবং চুরি ও ছিনতাইয়ের শিকার না হন, সেই জন্য পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। শহরে যানজট কমানোর জন্য কিছু সড়কে ডাইভারশন করা হয়েছে। নড়াইল জেলা পুলিশ সবাইকে সমান ভাবে আইনি সহায়তা দিবে। আপনারা থানায় আসুন, নির্ভয়ে পুলিশি সেবা গ্রহণ করুন। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাজে একসঙ্গে চলতে চাই। আর কোনো মারামারি হানাহানি নয়। এছাড়া মাদক, জুয়া, সন্ত্রাস, সাইবার ক্রাইম, বাল্যবিয়ে, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, ধর্মীয় উস্কানি, অপপ্রচার ছড়ানোসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট থেকে সবাইকে সরে আসতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রকিবুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (টিআই অ্যাডমিন) কামরুল ইসলামসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিল্প ও বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।