খুলনায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, এনসিপি অফিসে হামলায় আটক ৫

এফএনএস (এম এ আজিম; খুলনা) : | প্রকাশ: ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:০২ পিএম
খুলনায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, এনসিপি অফিসে হামলায় আটক ৫

খুলনা মহানগরীর পাওয়ার হাউজ মোড় ও সাচিবুনিয়া বাইপাস সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে উভয় স্থানে এই ঝটিকা মিছিল হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে।

অপরদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)’ খুলনা জেলা ও মহানগর  কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) গভীর রাতে নগরীর টাইগার গার্ডেন সংলগ্ন কার্যালয়ে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, লবণচরার সাচিবুনিয়া টেক্সটাইল মিলের পাশে বাইপাস সড়কে রাত ৮ টার দিকে ৪০/৫০ জন ঝটিকা মশাল মিছিল বের করে। খুলনা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে এ মিছিল বের হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ পৌঁছালে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ সেখানে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।

একই সময় মহানগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন ঝটিকা মিছিল বের করে। খবর পেয়ে সদর ও সোনাডাঙ্গা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

কেএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, “কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের ৮/১০ জন রাতে ফেরীঘাটের মোড় থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করে। স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় খুলনা ও সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ সেখান থেকে ৩ জনকে আটক করে।”

জানা গেছে, ১৩ নভেম্বরকে কেন্দ্রকে মহানগরীতে পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তা নিয়েছে। এর আগে নগরীতে পুলিশের চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।

উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) তাজুল ইসলাম বলেন, “১৩ নভেম্বর নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ, সিটিএসবি এবং সঙ্গে থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ। মোবাইল টিম এবং চেকপোষ্ট বাড়ানো হয়েছে।”

অপরদিকে, খুলনা জেলা ও মহানগর এনসিপি’র দলীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) গভীর রাতে শহরের টাইগার গার্ডেন সংলগ্ন এনসিপি কার্যালয়ে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক ১টার দিকে একদল দূর্বৃত্ত হঠাৎ দলীয় কার্যালয়ে ঢ়ুকে ভাঙচুর চালায় এবং আসবাবপত্র নষ্ট করে। স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই দলীয় নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে পৌঁছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেন। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি। এ বিষয়ে এনসিপি’র খুলনা জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে