পাবনার সুজানগরে কুমড়া ছাড়াই অবাধে তৈরী করা হচ্ছে কুমড়ো বড়ি। উপজেলার নিয়োগীর বনগ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবার প্রতিদিন ওই বড়ি তৈরী করে দেদারছে সুজানগর পৌর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। এতে প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তারা।
উপজেলার খারপাড়া গ্রামের আব্দুস ছালম জানান, প্রতি বছর শীতের মৌসুমে ওই গ্রামের অর্ধশত পরিবার বাণিজ্যিকভাবে কুমড়ো বড়ি তৈরী করেন। নিয়ম অনুযায়ী চাল কুমড়া এবং মাসকালাই ডাল দিয়ে কুমড়ো বড়ি তৈরী করার কথা। কিন্তু ওই সকল পরিবার চাল কুমড়া এবং মাসকালাই ডালের পরিবর্তে আলোচাল এবং বড় বড় এ্যাংকার ডাল দিয়ে তৈরী করছেন কুমড়ো বড়ি। একই এলাকার লিটন হোসেন বলেন ওই গ্রামের অর্ধশত মহিলা চাল কুমড়া এবং মাসকালাই ডাল ছাড়া শুধু আলোচাল এবং ভারতীয় বড় বড় এ্যাংকার ডাল দিয়ে কুমড়ো বড়ি তৈরী করে খাঁটি কুমড়ো বড়ি হিসেবে চড়া দামে বিক্রি করছেন। আর এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত ওই বড়ি প্রতিকেজি ৩ থেকে সাড়ে ৩‘শ টাকা দরে কিনে নিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ভুক্তভোগী ক্রেতা মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন আমি রোববার সুজানগর পৌর বাজারের একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩‘শ টাকা দিয়ে ১কেজি কুমড়ো বড়ি কিনেছিলাম। খেয়ে দেখি আসলে তাতে কোন চাল কুমড়া বা মাসকালাইয়ের স্বাদ-গন্ধ নাই। এমনকি খেতেও মজা না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন চাল কুমড়া এবং মাসকালাই ছাড়া কুমড়ো বড়ি তৈরী করে খাঁটি কুমড়ো বড়ি হিসেবে বিক্রি করা অপরাধ। কাজেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।