হেমন্তেই কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে প্রকৃতিতে শীত যেন তার আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে যেন শীত এসেছে। হেমন্তের সন্ধ্যায় অনেকখানি ঠান্ডা পড়ছে,গরম কাপড় শরীরে জড়িয়েছে মানুষ। বইছে হিমেল বাতাস। ভোরে সবুজ ঘাসের উপর বিন্দু বিন্দু শিশির কণা। কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে প্রকৃতি। ভোররাতে গেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে যানবাহনকে। সূর্যটাও দেখা দিচ্ছে খানিকটা দেরিতে। খেজুর গাছে ইতোমধ্যে রস নিয়ে আসার ব্যস্তায় আছেন গাছিরা। বাজারে দেখা মিলছে শীতকালীন মুলা,ফুলকপি,বাধাকপি,শিম,লাউসহ রকম রকমের সবজির। শীতকেই জানান দিচ্ছে যেন।
চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে কমছে তাপমাত্রা আর বাড়ছে শীত। বুধবার (১২ নভেম্বর) চাটমোহরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা রাতেই শীতের আমেজ শুরু হয়। রাতে লেপ,কাঁথা আর কম্বল নিতে হচ্ছে শরীরে। হাট-বাজার আর মার্কেটগুলোতে প্রস্তুতি চলছে শীতের পোশাক বেচাকেনার। ব্যবসায়ীরা বললেন,শীতের পোশাক বিক্রি এখনও শুরু হয়নি। প্রস্তুতি চলছে। যেভাবে শীত এসেছে,তাতে আগেভাগেই শীতের পোশাকের চাহিদা শুরু হবে।
এদিকে সকালের ঘন কুয়াশা ভেদ করেই কৃষক মাঠে নামছেন। শীতকে উপেক্ষা করে চলছে আমন ধান কাটা আর মাড়াই। একইসাথে প্রস্তুতি চলছে রবি ফসল আবাদের।