নালিতাবাড়ীতে কাঁচা সড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ চরমে

এফএনএস (শাকিল আহমেদ শাহরিয়ার; শেরপুর) : | প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০১:০৬ পিএম
নালিতাবাড়ীতে কাঁচা সড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ চরমে

শেরপুরের নালিতাবাড়ীর মরিচপুরান ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজার থেকে ভোগাইপাড় হিন্দুপাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার জনগুরুত্বপূর্ণ কাঁচা সড়কটির এখন বেহাল দশা। এই সড়কটি চলাচলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও দীর্ঘদিন যাবত নেই কোনো সংস্কারের উদ্যোগ। শুষ্ক মৌসুমে ছোটখাটো যানবাহন চলাচল করলেও বর্ষাকালে একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি। দ্রুত সড়কটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী অধিবাসীরা।

শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালি আর বর্ষা মৌসুমে কাঁদা পানিতে বেহাল দশার সৃষ্টি হচ্ছে জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি । অনেক সময় ওই সড়কে যানবাহনতো দূরের কথা হেটে যাওয়াই কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। আর সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে এমন কর্দমাক্ত হয় তখন জুতা পায়ে দিয়ে চলাচলের কোনো উপায় থাকে না।

এলাকাবাসী জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৪-৫ শত মানুষ ও শতাধিক ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে থাকে। এছাড়া এই সড়কের দুই পাশে রয়েছে ছোট ছোট হাট-বাজার, জামে মসজিদ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কবরস্থানসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান।

ওই এলাকার বাসিন্দা স্বপন আহমেদ, রেজাউল করিম, রুবেল, হাফিজুল ইসলাম, আকিকুল ও সুরুজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। বৃষ্টি হলেই এই সড়ক দিয়ে আমাদের চলাচল করা কষ্ট হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারে না। সড়কে কাঁদা ও পানি জমে থাকায় আমরা রিকশা কিংবা ভ্যানগাড়ী দিয়ে বাজারে ধানসহ ও অন্যান্য কৃষি পণ্য বিক্রি করার জন্য নিতে পারিনা। এমনকি চিকিৎসার জন্য জরুরী রোগী থাকলেও আমরা হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি না। সরকারীভাবে এই সড়কটি পাকা করে দিলে আমাদের জন্য খুব ভালো হতো।’ একই এলাকার শিক্ষার্থী জাকির রানা বলেন, ‘জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি বছরের বেশির ভাগ সময় কর্দমাক্ত হয়ে থাকে। প্রায় সারা বছরই আমাদেরকে স্কুল কলেজে যেতে অনেক সমস্যা হয়।’

স্থানীয় মসজিদের ইমাম আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে কেউ মারা গেলে এই সড়কর দিয়ে তার লাশ নিয়ে আসা কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই অতিদ্রুত এই সড়কের দুর্ভোগ লাঘবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা পাকাকরনের জোর দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. গোলাম কিবরিয়া পিয়াল বলেন, “ নালিতাবাড়ী উপজেলায় এমন অনেক কাঁচা সড়ক রয়েছে। যে সড়কগুলোতে এলজিইডির ক্রমিক নম্বর যুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এসব সড়ক পাকাকরণ করা হবে। নতুন প্রকল্প পেলেই ওই সড়কের পাকাকরণের কাজ শুরু করা হবে।”

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে