হাজারো ভক্তের চোখের জলে চিরবিদায় নিলেন ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার অন্যতম ইসলামী চিন্তাবিদ, প্রবীণ আলেমে-দ্বীন, গফরগাঁও উলামা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও দুগাছিয়া জামিয়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হযরত মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানী।
গফরগাঁওয়ের এই কৃতি সন্তানের জানাজায় অংশ নিতে গফরগাঁও সহ আশপাশের উপজেলা এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসেন হাজার হাজার মুসল্লি।
গতকাল শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় তার বাবা প্রখ্যাত আলেমে-দ্বীন হযরত মাওলানা বুরহান উদ্দিন (রহঃ) হাতে গড়া প্রিয় প্রতিষ্ঠান দুগাছিয়াজামিয়া হোসাইনীয়া
মাদ্রাসার সংলগ্ন ময়দানে নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
জানাজায় ময়দানে লাশ নিয়ে যাওয়ারা আগেই পুরো ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এসময় পাশের সড়কও কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন তার বড় ছেলে মাওলানা নাঈমুল হাসান মাসরুর। জানাযা শেষে মাদ্রাসা সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানীর মৃত্যুর খবর ফেইসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হলে ঢাকা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন শেষবারের মতো এই ইসলামী চিন্তাবিদের মুখখানি দেখতে। তার জানাজায় অংশ নিতে শুক্রবার রাত থেকেই ভক্ত সহ মুসল্লিরা মাদরাসা প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করেন।
মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানী শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) মাগরিবের নামাজের পর দীর্ঘদিন ঢাকায় পিজি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন থেকে গফরগাঁও বাড়িতে আসার পথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী, পাঁচ ছেলে, তিন মেয়ে ও ছাত্র-শিক্ষক, মুরিদানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গফরগাঁও উপজেলা সভাপতি মাওলানা জয়নুল আবেদীনের পরিচালনায় মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানীর জানাজাপূর্ব আলোচনা মরহুমের জীবনী সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন, সিলেটের পীরে কামেল মাওলানা শফিকুর রহমান জালালাবাদী, ময়মনসিংহের বিশিষ্ট আলেমে-দ্বীন মুফতি মাহবুবুল্লাহ কাসেমী, গফরগাঁওয়ের বিশিষ্ট আলেমে-দ্বীন মুফতি আনোয়ার মাহমুদ, গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এন. এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমির সালমান রনি, গফরগাঁও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ইসমাঈল হোসেন সোহেল, জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, গফরগাঁও উলামা সমিতির সভাপতি হাফেজ মোঃ নুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আজিজুর রহমান সহ আরও অনেক আলেম- উলামায়ে কেরামগন।
বক্তারা বলেন, তিনি ছিলেন গফরগাঁওয়ের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর জানাজায় এতো মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থেই জনগণের আলেম।