বরিশালের মুলাদীতে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা তাপস মন্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় ৯জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। মৃত্যুর ৪দিন পরে আজ সোমবার সকালে তাপস মন্ডলের স্ত্রী অনিকা মন্ডল বাদী হয় মুলাদী থানায় মামলা করেন। এতে উপজেলার চরকালেখান নোমরহাট এলাকার স্বপন মন্ডল ও তার স্ত্রী রাখী মন্ডলসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর দিবাগত রাত ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা তাপস মন্ডল। তিনি হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মুক্তেশ্বর মন্ডলের ছেলে। গত ২৩ অক্টোবর রাতে পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ এনে স্বপন মন্ডল লোকজন নিয়ে তাকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করেন তাপসের স্ত্রী অনিকা মন্ডল।
মামলা ও পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদে কম্পিউটার উদ্যোক্তা হিসেবে কাজের সময় স্থানীয় জিতেন মন্ডলের ছেলে স্বপন মন্ডলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ওই সময় পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাপস। গত ২৩ অক্টোবর রাতে তাপস মন্ডল নোমরহাট এলাকায় স্বপনের বাড়িতে গেলে স্বপন মন্ডল ও তার লোকজন তার হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে। পরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম সরদার তাকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১২ নভেম্বর রাতে তিনি মারা যান। তাপসের মৃত্যুর পরে স্বপন মন্ডল ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
তাপস মন্ডলের স্ত্রী অনিকা মন্ডল বলেন, পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ দিয়ে তার স্বামীকে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের ২১দিন পর তার মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় স্বপন মন্ডলসহ ৯জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, তাপস মন্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে সব আসামির নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।