পৈত্রিক জমির উপর রাস্তা উদ্ধারের নামে এক নিরীহ গরিব পরিবারের বাড়ির বেড়া ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভ’মি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে।রোববার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ বিয়য়ে ব্যবস্থা নিতে ভ’ক্তভোগী পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী দরিদ্র দিনমজুর। পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের পৈত্রিক জমিতে বসবাস করে আসছে। হঠাৎ করে তহসিলদার ও সহায়ক কর্মীরা কোনো প্রকার পূর্ব নোটিশ বা আলোচনা ছাড়াই “রাস্তা উদ্ধারের” নাম করে তাদের বাড়ির সামনের বেড়া ও কিছু স্থাপনা ভেঙে দেন। অথচ উল্লেখিত জায়গাটি কোন সরকারী রেকর্ডভ’ক্ত জায়গা নয় বরং তার পৈত্রিক জমি। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আলী বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। এই জমিটুকুই আমাদের বেঁচে থাকার ভরসা। কোনো কথা না বলে আমাদের বেড়া ভেঙে দিয়েছে। আমরা কীভাবে চলবো?”
এ বিষয়ে এলাকার কিছু বাসিন্দা জানান, প্রকৃত রাস্তা অন্যদিকে থাকলেও মোহের বশবর্তী হয়ে কিংবা ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেড়া ভাঙার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে তহসিলদারের কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে এ ধরনের সরকারি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তারা দাবি করেছেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয়রা দ্রুত তদন্ত ও প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
অভিযুক্ত তহমিলদারের সাথে মুটোফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি কোর ভাংগাভাংগি করি নাই। রাস্তা উদ্ধারের জন্য গিয়েছিলাম।আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারে। তাতে কিছু যায় আসে না। তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত করে ব্যবস্ত্য নেওয়া হবে।