ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের(এলজিইডি)আওতাধীন উপজেলার নির্মাণাধীন সড়কে চলমান কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়ক নির্মানের নামে ব্যবহার করা হচ্ছে অতিনিম্নমানের মাটি,বালি, ইট ও খোয়াসহ নিম্নমানের সামগ্রী।সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিয়ম অনুয়ায়ি সিডিউল মোতাবেক নিয়ম অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে না। বালির পরিবর্তে মাটি, নিম্নমানের পুরোনো ইটের খোয়া ও তার অবশিষ্ট অংশের ধুলোবালি দিয়ে রাতের আধারে কাজ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ,সড়কের কাজ তদারকিতে উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তাদের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্যাপক অনিয়মের মধ্যদিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।কালীগঞ্জ এলজিইডি বলছেন,ঝিনাইদহ জেলা গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রায় ৪৮ লাখ টাকা ব্যায়ে ৪৪০ মিটার পিচ সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। কালীগঞ্জ উপজেলার উপজেলার শিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের রোকনপুর টু বাবরা দাসপাড়া পর্যন্ত। এ,টি,এস,ট্রেডার্স ব্যাপারিপাড়া ঝিনাইদহ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠন সড়কের কাজটি করছেন। রোকনপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম বলেন,যেভাবে নিম্ন মানের মাটি বালু ও ইটের খোয়া ব্যবহার করে কাজ করা হচ্ছে এবং এর উপর যদি পিচ দেওয়া হয় তাতে সড়কটি অল্পদিনেই নষ্ট হয়ে ভেঙ্গে খানাখন্দ পরিনত হবে।
নির্মাণ কাজে অতি নিম্নমানের বালিমাটি ও ইটের খোয়া ব্যবহার দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাঁরা বলেন, একেবারেই নিম্নমানের বালি, ইট ও খোয়া দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সড়কের কাজ যে ভাবে করা হচ্ছে সবই সিডিউল অনুযায়ি করা হচ্ছে না।সড়কটিতে সিডিউলে উল্লেখিত বক্সের মাপ সঠিক ভাবে করা হয়নি এবং সঠিক বালি ব্যবহার না করে অত্যন্ত নিম্নমানের কাদামাটিযুক্ত বালি। এ,টি,এস নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আহমেদ বলেন, বর্তমানে বালির খুব সংকট থাকায় বাওড় থেকে উত্তোলন করা বালি রাস্তায় দেওয়া হয়েছে।সড়কে যে মালামাল দেওয়া হচ্ছে সব মালামাল এসও সাহেবের কথামতো ব্যবহার করেছি।
সড়কটির কাজ দেখভাল করছেন কারীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রক্যেশলী মোঃ হুজাইফা হক। তিনি জানান,রাস্তাটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদার কাজের সাইডে যে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী রেখেছেন এবং রাস্তায় যা ফেলেছেন তা অতিসত্বর অপসারণ করার জন্য তাকে নকি বলা হয়েছে।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী শাহরিয়ার আকাশ বলেন,আমি রাস্তাটি দেখতে যাব। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কাজ করলে অবশ্যই ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজওয়ানা নাহিদ বলেন আমি কাজের একটি ভিডিও ফুটেজ আপনাদের মাধ্যমে দেখে কাজটি আপাতত বন্ধ রাখার জন্য বলেছি।তদন্ত করে কাজ নিয়ম অনুযায়ী ভালোভাবে না করলে ব্যবস্থা নিবো।