গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে বীজ আলুর দাম অনেক বেশি থাকলেও বাগেরহাটের শরণখোলার কৃষকেরা আলু চাষ করে নিজেদের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন। আলু ক্ষেত চাষ করার জন্য ট্রিলার সংকটের কারণে রাত দিন চাষ করে আলুর বীজ বপনে করছেন চাষিরা। ভালো ফলনের মধ্য দিয়ে কৃষক লাভবান হবেন বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। এ বছর ধানের জমির লেদা পোকা আলুর ক্ষেতে আসপাশে দেখা যাচ্ছে। গাছ বড় হলে ক্ষতি হওয়ার আসংঙ্কা রয়েছে বলে চাষিরা জানিয়েছে।উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা মশিউল আলম বলেন, উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সরকারি ভাবে দশ জন চাষীকে ১২০ কেজি আলু, সার এবং কীটনাশক দেয়া হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর অনেক বেশি জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। উপজেলার জিলবুনিয়া গ্রামে সরজমিনে গেলে আলু চাষী আমজাদ আলী শাহ বলেন, দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ করছেন। গত বছর আলু কিনেছেন ২৪০০ টাকা করে। বর্তমানে আলু কিনছেন চার হাজার টাকা করে প্রতি মন। প্রতিবিঘা জমিতে বীজ আলু, সার, কীটনাশক ও লেবার বাবদ খরচ করছে ৬০ হাজার টাকা। তার মধ্যে ৪০ হাজার টাকা শুধু বিজ আলু কিনেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কমপক্ষে একশ মন আলু উৎপাদন হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। যার দাম হবে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। তিনি আট/দশ বছর ধরে আলু চাষ করেন। তিনিও আলু চাষ করে সবার মত ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন। এ বছর ধানের জমির লেদা পোকা আলুর ক্ষেতে আসপাশে দেখা যাচ্ছে। গাছ বড় হলে ক্ষতি হওয়ার আসংঙ্কা রয়েছে। উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামের চাষী দেলোয়ার শিকদার জানান, তিনি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। বেশি দামে আলু বীজ কেনার কারণে তার বিঘাপতির খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। তবে অনেক বছর ধরে তিনি আলু চাষ করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্ষতির সম্মুখীন হননি। তিনি আশা করছেন প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে লাভের পরিমাণ বেশি হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, এ বছর আগের তুলনায় বেশী আলু চাষ হয়েছে। এ বছরই প্রথম চাষীদের আলু চাষে আগ্রহী করে তোলার জন্য দশ জন চাষির মধ্যে প্রদর্শণী দেয়া হয়েছে যাতে চাষীরা আরও উৎসাহিত হন। আমাদের কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।