কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় রেফাজুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যাক্তি কে মুখের ভিতর পিস্তল ঢ়ুকিয়ে দিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পাথরঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রেফাজুল ইসলাম একই এলাকার জামাত আলীর ছেলে।
এ সময় দুর্বৃত্তরা লালন মন্ডল (৫০) নামে স্থানীয় এক চা বিক্রেতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে। তাকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে রায়টা পাথরঘাটা এলাকার একটি দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন রেফাজুল ইসলাম। এ সময় কয়েকজন অস্ত্রধারী তাকে ঘিরে ধরে মুখের ভিতর পিস্তল ঢ়ুকিয়ে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই রেফাজুলের মৃত্যু হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় চা বিক্রেতা লালন মন্ডলকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা।
আহত লালন মন্ডলের বড় জামাই অনিক বলেন,আমার শ্বশুর খুবই গরিব মানুষ। রায়টা পাথরঘাটা এলাকায় চা বিক্রি করেন। পাশেই তার ছেলে মাছ ধরছিল। ঘটনার সময় ছেলেকে আনতে যাচ্ছিলেন। তখন তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যখম করে।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) একরামুল হক সাংবাদিকদের বলেন,আহত বক্তির মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তার শরীরে গুলির কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ভেড়ামারা সার্কেল) দেলোয়ার হোসেন জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে একব্যক্তি মারা গেছেন। ধারণা করছি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা ছিল। তবে কারা এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।