ভূরুঙ্গামারী প্রশাসনের হস্তক্ষেপের পুর্বেই ড্রেজার সরিয়ে নিল বালু খেকো নজরুল

এস.এম গোলাম মোস্তফা; ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম | প্রকাশ: ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
ভূরুঙ্গামারী প্রশাসনের হস্তক্ষেপের পুর্বেই ড্রেজার সরিয়ে নিল বালু খেকো নজরুল
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের ফুলকুমার নদীতে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়ভাবে ‘মাটিখেকো’ হিসেবে পরিচিত থানাঘাট বাজার এলাকার পল্লী চিকিৎসক নজরুল ইসলাম প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে দিন-দুপুরে নদী থেকে বালু তুলছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ রয়েছে, নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ফুলকুমার নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রাম ট্রলি ও শ্রমিক ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করে আসছেন। ইউএনও কার্যালয়ের মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে তাকে সতর্ক ও জরিমানা করলেও কয়েকদিন বিরতি দিয়ে তিনি আবারও অবৈধ বালু তোলাতে নেমেছেন। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীরা জানান, নজরুলের দুই জামাই—একজন কর অফিস গোবিন্দগঞ্জে অফিস সহায়ক এবং আরেকজন বিমানবাহিনীর সদস্য—এই পরিচয় ব্যবহার করে তিনি এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন। প্রচার চালানো হচ্ছে যে “উচ্চপর্যায়ে তার লোক আছে”, তাই কেউ তাকে আটকাতে পারবে না। এ কারণে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা আরও জানান, নজরুল ইসলাম থানায় মুচলেকা দিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি আর নদী থেকে বালু তুলবেন না। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই ফের সে কাজে নেমে পড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, তার দুই জামাইয়ের জন্য কিনে রাখা পতিত জমি ভরাট করতেই তিনি যেকোনো মূল্যে বালু তুলতে বদ্ধপরিকর। পাথরডুবি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নজরুলের মতো আরও বেশ কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি অবৈধভাবে নদীর মাটি-বালু উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে নদীর প্রবাহ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সৃষ্টি হচ্ছে ভাঙন ও পরিবেশগত ঝুঁকি। এ বিষয়ে স্থানীয় সচেতন মহল প্রশাসনের কড়া নজরদারি এবং কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, নিয়মিত অভিযানের অভাবে এসব ভূমিদস্যুরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। ফুলকুমার নদী রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে শক্ত পদক্ষেপ না নিলে পরিবেশ, কৃষিজমি ও স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপজন মিত্র বলেন গতকাল উপজেলা প্রশাসন থেকে নায়েবকে পাঠানো হয়েছিল। নায়েব যাওয়ার খবর পেয়েই তারা অবৈধ ড্রেজার মেশিন সরিয়ে নিয়েছে। তবে কেউ আবারও বালু উত্তোলনের চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে