রংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে রুপলাল দাস (৪০) ও প্রদীপ লাল (৩৫) হত্যার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট এলাকার রুবেল পাইকার। পুলিশ টাঙ্গাইল সদর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
রুপলালের ছেলে জয় রবি দাস বলেন ভিডিও দেখে প্রতিবেশীর কাছে খোঁজ নিয়ে জেনেছি ৯ই আগস্ট আমার বাবাকে রুবেল হোসেনসহ ২৫-৩০ জন পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই
এর আগে ১০ আগস্ট নিহত রুপলালের স্ত্রী ভারতী রানী বাদী হয়ে তারাগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় সাত শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। পরে ভিডিও-ফুটেজ বিশ্লেষণ ও -’ানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ৯জনকে গ্রেপ্তার করে।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ ফারুক বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণ, ভিডিওফুটেজ ও -স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখা গেছি রুবেল পাইকার ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ঘটনার পর থেকে রুবেল পাইকার পলাতক ছিলেন। রাত ১টার দিকে তাকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। অন্য আসামিদের ধরতেও অভিযান চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কেউই বাদ যাবে না।”
মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়, ৯ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিঠাপুকুরের ছরান বালুয়া এলাকা থেকে ভাগনির -^ামী প্রদীপ লালকে নিয়ে ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন রুপলাল দাস। পথে সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা মোড়ে স্থানীয় কয়েকজন তাঁদের গতিরোধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে প্রদীপের কাছে থাকা কালো ব্যাগ তল্লাশি করে একটি পানীয়ের বোতল ও ওষুধ পান। বোতলের ঢাকনা খোলার পর দুর্গন্ধে কয়েকজন অসু-’ হয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা দুজনকে বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে গণপিটুনি দেয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে রুপলালকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ভোরে প্রদীপ লালের মৃত্যু হয়।