সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের ইসলামী আন্দোলন মনোনিত প্রার্থী বদল করা হয়েছে। এই আসনের কেন্দ্রীয় যুব আন্দোলনের সদস্য মুফতি জাহিদুল ইসলামের স্থলে সদ্য যোগদানকৃত জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সহসভাপতি আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার দৌলতুজ্জামান আনছারীকে দলীয়ভাবে চূড়ান্ত প্রার্থীতা ঘোষণা করা হয়েছে।
২৩ নভেম্বর দুপুরের দিকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুরানা পল্টনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী পরিবর্তনের ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামি আন্দোলন মেলান্দহ শাখার সেক্রেটারি মাও. মোখলেসুর রহমান।
দলটির বর্তমান এবং সাবেক উপজেলার কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, মুফতি জাহিদুল ইসলামকে প্রার্থী হিসেবে সব কিছু ঠিক থাকলেও, মাঠ পর্যায়ে এই যুব নেতার পরিচিতি কম থাকার বিষয়টি আলোচনায় আসে। অবশেষে দলের মধ্যেই আরো সমৃদ্ধ প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে দফায় দফায় সাংগঠনিক বৈঠক চলছিল।
ইতোমধ্যেই ধার্মিক এবং ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি দানবীর আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার দৌলতুজ্জামান আনছারীর নাম আলোচনায় আসে। এ নিয়েও কয়েক মাস যাবৎ দলের বাইরে-ভিতরে একটি মেরুকরণের প্রক্রিয়া চলতি ছিল। অবশেষে ১৯ নভেম্বর দৌলতুজ্জামান আনছারী ইসলামী আন্দোলনে যোগদানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হবার পর টক অব দ্যা মেলান্দহ পরিণত হয়। কেন্দ্রীয় কৃষক দলের এই ভিআইপি নেতার যোগদানের মধ্য দিয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে।
ইসলামী আন্দোলন মেলান্দহ উপজেলা সভাপতি মুফতি আনোয়ার হোসাইন আরিফ জানিয়েছেন, আনছারী সাহেব যোগদানকে কেন্দ্র করে মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ এমনকি জেলা এবং কেন্দ্রীয়ভাবে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। আজকেই দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারক এবং আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম চরমোনাই পীর কেবলা জান কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমাদেরকে ডেকে ছিলেন। এ সময় আমীর চরমোনাই পীর সাব জামালপুর-৩ আসনের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার দৌলতুজ্জামান আনছারীর কাছে হাত পাখা তুলে দেন। আগের ঘোষিত প্রার্থী মুফতি জাহিদুল ইসলাম ছাড়াও, কেন্দ্রীয়-জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতৃবৃন্দরা হলেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, জামালপুর জেলা সেক্রেটারি মাও. সুলতান মাহমুদ সিরাজী এবং মেলান্দহ-মাদারগঞ্জের নেতৃবৃন্দ।
এ ব্যাপারে আগের প্রার্থী মুফতি জাহিদুল ইসলাম জানান-আমি দলীয় সিদ্বান্তকে স্বাগত জানিয়েছি। মূলত: এই আসনের বিজয় নিশ্চিত করতেই আমি নিজে থেকেও ছাড় দিয়েছি। আশা করি বিজয় সুনিশ্চিত হবে।
ইসলামী আন্দোলন থেকে সদ্য মনোনয়ন প্রাপ্ত আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার দৌলতুজ্জামান আনছারী জানান-আল্লাহর অশেষ কৃপা থাকলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। মানুষ এখন পুরোনো ধ্যান-ধারণা-বর্জোয়া এবং নীতি বহির্ভূত রাজনীতেতে বিশ্বাসী নয়। আগের সব দলকে দেখা শেষ। এবার ইসলামী আন্দোলনের বাংলাদেশে বিজয় নিশান উড়বে ইনাশাল্লাহ। এই আদর্শেই ইসলামী আন্দোলনে যোগদান করেছি। আমাকে মনোনয়ন দেয়ায় দলের কাছে কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি আমার জন্য আগের প্রার্থীর ছাড় দেয়ার মানষিকতার বিষয়টি আমাকে আন্দোলিত করেছে।