রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করার ইঙ্গিত পাওয়া গেলে তা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা যদি বলেন যে ‘আমাদের কথায় প্রশাসন উঠবে–বসবে’, তাহলে সেটি আরেকটি দানবীয় শাসনের ইঙ্গিত দেয়, যা শেখ হাসিনার শাসনামলের মতো নতুন এক ফ্যাসিবাদের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘গণতন্ত্রে উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে হিউম্যান রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশন হিউরাফ।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্রকে সুসংহত করার কোনো লক্ষণ এসব বক্তব্যে দেখা যায় না। বরং এখানেই অহংবোধ প্রকাশ পায়। তাঁর ভাষায়, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রাখা প্রয়োজন এবং তারা যেন যেকোনো সরকারের নীতিমালা বাস্তবায়নে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সেটাই হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, ক্যাডার ভিত্তিক দলগুলো সবসময়ই প্রশাসন ও বিচার বিভাগে নিজেদের লোক বসানোর চেষ্টা করে, যা রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। উদাহরণ হিসেবে তিনি সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফি ও হিটলারের নাম উল্লেখ করেন। রিজভীর দাবি, এসব নেতারা বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে নিজেদের লোক বসিয়ে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের পথ সুগম করেছিলেন, যাতে আদালতও তাদের কর্মকাণ্ড আড়াল করতে বাধা না দেয়।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হিউরাফের আহ্বায়ক আহমেদ হুসেইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু জাফর খান এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ।