ই-পারিবারিক আদালত চালুর ফলে বিচারপ্রার্থীর ভোগান্তি কমবে, দুর্নীতির সুযোগও কমে আসবে বলে মনে করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। রোববার ২৪ নভেম্বর সকালে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এাদেশের প্রথম ই-পারিবারিক আদালতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তার মতে, ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীকে আর আগের মতো দৌড়ঝাঁপ করতে হবে না, ফলে সময়ও সাশ্রয় হবে।
অনুষ্ঠানে তিনি জানান, বিচারব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। প্রধান উপদেষ্টার কর্মশৈলী তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সবচেয়ে বড় অফিস এখন হোয়াটসঅ্যাপ। তিনি প্রায় সব নির্দেশনা সেখান থেকেই দেন, তাই দেশের সব ক্ষেত্রেই ডিজিটালাইজেশন জরুরি।
নিজেদের অবদান প্রসঙ্গে ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আমাদেরকে ধন্যবাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনারা শুধু এটাকে সন্তানের মতো দেখবেন।” তিনি জানান, আইন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ২১টি রিফর্ম সম্পন্ন করেছে। সামনে যে সরকারই আসুক, তারা যেন দেশের স্বার্থে এই রিফর্মগুলো ধরে রাখে এবং এগিয়ে নেয়, এ আহ্বান জানান তিনি।
পারিবারিক মামলায় লিগ্যাল এইডের বাধ্যতামূলক সুবিধার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। জানান, এখন পর্যন্ত ২০টি জেলায় এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে তা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। তার ধারণা, এ উদ্যোগ নিয়মিতভাবে বাস্তবায়িত হলে আগামী পাঁচ বছরে মামলার জট অর্ধেক পর্যন্ত কমে আসতে পারে।
সংস্কার বাস্তবায়নকে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি সিঙ্গাপুরের উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানেও কাঠামোগত সংস্কারে প্রায় ১০ বছর লেগেছিল। তাই রাতারাতি পরিবর্তনের আশা বাস্তবসম্মত নয়। জনগণের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করা ছাড়া সংস্কার টেকসই হয় না, আর রাষ্ট্রের ভিত্তি দুর্বল করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াও ঠিক নয়।