ইসলামপুরের শসার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

এফএনএস (এস এম এ হালিম দুলাল; জামালপুর) :
| আপডেট: ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০১:০৪ পিএম | প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
ইসলামপুরের শসার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় এবার শসার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমেইসলামপুরের শসা  উৎপাদন  বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন শুধু স্থানীয় বাজারে সীমাবদ্ধ নেই বরং পািইকেরদের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে যাচ্ছে।

স্থানীয় কৃষক কিয়ামত আলী জানান, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শসার উৎপাদন খুব ভালো হয়েছে। পাইকারি দামও বেশ সন্তোষ জনক।  মাঠ থেকে প্রতি কেজি শসা ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের তোলনায় ৮-১০ টাকা বেশি।

সাজেলেরচর বাজারের ব্যবসায়ী কোব্বাত আলী  বলেন, এখানে শসার পাইকারি বাজার থাকায় কেনাবেচা বেড়েছে। এতে আমাদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছে।

স্থানীয় শসা ব্যবসায়ী আশরাফ মোল্লা ও শাহিন মিয়া জানান, আগে আমরা শুধু স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতাম। এখন কৃষকদের কাছ থেকে শসা সংগ্রহ করে ট্রাকে ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছি। এতে কৃষক লাভবান হচ্ছে, পাশাপাশি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাজেলেরচর বাজার থেকে প্রতিদিন প্রায় ১হাজার থেকে ১২শ মন শসা সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, ইসলামপুর উপজেলায় খরিফ-২ মৌসুমে প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে শসা আবাদ হয়েছে। অপর দিকে রবি মৌসুমে শসা আবাদ আরও বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।তাতে করে এ উপজেলায় সর্ব মোট প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে শসা চাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতিশসার  কাঙ্ক্ষিত গড় ফলন ৩৫মেঃ টন ধরে চলতি মৌসুমে মোট ৭ হাজার ৫শ থেকে ৮,০০০ মেঃ টন শসা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

ইসলামপুরের শসার উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারে চাহিদা পুরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে  সরবরাহ হচ্ছে। কৃষকদের দাবী সরকারি ভাবে আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করা গেলে শসা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে