সারা দেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কমার লক্ষণ মিললেও মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না। সোমবার ২৪ নভেম্বর ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সময়ে বিভিন্ন হাসপাতলে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৭০৫ জন রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানায়, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩৬৬ জনের। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৯০ হাজার ৯৬৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ রয়েছেন ৬২ দশমিক তিন শতাংশ, নারী ৩৭ দশমিক সাত শতাংশ।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের বড় অংশই রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকাগুলো থেকে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ভর্তি হয়েছেন ১৭১ জন, দক্ষিণ সিটিতে ৭৭ জন। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন বিভাগেও উল্লেখযোগ্য রোগী ভর্তি হয়েছেন। বরিশাল বিভাগে ৬২ জন, চট্টগ্রামে ১১৬ জন, ময়মনসিংহে ৫৩ জন, খুলনায় ৩৪ জন, রাজশাহীতে ৩৪ জন, রংপুরে পাঁচ জন এবং সিলেটে ১৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
একই সময়ে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮১৬ জন রোগী। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৮৮ হাজার ২৫৮ জন ডেঙ্গুরোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
পূর্ববর্তী দুই বছরের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন, মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি ছিল আরও ভয়াবহ। সেই বছরে প্রাণ হারান এক হাজার ৭০৫ জন, আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
ডেঙ্গুর সংক্রমণ কমাতে মশার প্রজননস্থল নষ্ট করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং রোগের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ পুনরায় মনে করিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।