সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে সারা দেশে সৃষ্টি হওয়া আতঙ্কের প্রেক্ষাপটে জরুরি প্রস্তুতি বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার ২৪ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে তেজগাঁওয়ে সরকারপ্রধানের দপ্তরে এই বৈঠক শুরু হয়। এতে ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং তাৎক্ষণিক সমন্বয় নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আলোচনা করছেন।
গত দুই দিনে একের পর এক ভূমিকম্প দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আতঙ্ক বাড়িয়ে তোলে। শুক্র ও শনিবার ২১ ও ২২ নভেম্বর চার দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বিশেষ করে শনিবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনবার কেঁপে ওঠে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা। এর আগে শুক্রবার সকালে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প আঘাত হানে বাংলাদেশে। এই ভূমিকম্পে ঢাকাসহ তিন জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়, আহত হয় ছয় শতাধিক মানুষ। ঢাকার বহু ভবনে ফাটল দেখা দেয় এবং কয়েকটি স্থানে ভবন হেলে পড়ার ঘটনাও ঘটে।
রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার অদূরে নরসিংদীর মাধবদী। রাজধানী থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থান এবং ১০ কিলোমিটার গভীরে কেন্দ্র থাকায় এর প্রভাব ছিল ব্যাপক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নগর অঞ্চলে ঘনবসতি ও ভবনের কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি আরও বড় হয়ে উঠেছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, জরুরি প্রতিক্রিয়া, উদ্ধার সক্ষমতা, ভবন নিরাপত্তা এবং ভূমিকম্প-পরবর্তী ব্যবস্থাপনা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা চলছে। দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় প্রধান উপদেষ্টা সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি বাড়াতে নির্দেশনা দিয়েছেন।