লক্ষ্ণীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের সাহারপাড়া এলাকায় চাঁদার দুই লাখ টাকা না দেওয়ায় আনোয়ার হোসেন (৪৫) নামে এক বিএনপি কর্মীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে নিজ দোকানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করে ইউসুফ হোসেন নামে স্থানীয় যুবদল কর্মী ও তার সহযোগীরা জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
স্থানীয়রা জানান,নিহত আনোয়ার হোসেন সাহারপাড়া এলাকার মজিবুল হকের ছেলে এবং স্থানীয় বাজারে একটি মুদি দোকান পরিচালনা করতেন। ইউসুফ হোসেন একই গ্রামের এরশাদ মিয়ার ছেলে ও ইউনিয়ন যুবদল কর্মী বলে জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপি। হত্যাকাণ্ডের পর সাহারপাড়া এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আনোয়ারের স্ত্রী ফারজানা আক্তার সাথী জানান,আমার স্বামী তার শ্যালককে বিদেশে পাঠানোর জন্য একটি সংস্থা থেকে দুই লাখ টাকা নিয়েছিল। বিষয়টি জানার পর ইউসুফসহ তিনজন সেই টাকা চাঁদা হিসেবে দাবি করে। কয়েক দিন ধরে তারা বারবার দোকানে এসে হুমকি দিচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন,মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেলে এসে তিনজন দোকানে ঢুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ভোলাকোট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রহিম মজুমদার বলেন হত্যাকারী ইউসুফ যুবদলের কর্মী এবং নিহত আনোয়ার বিএনপির কর্মী। দুজনই দলের সাথে যুক্ত থাকলেও বড় কোনো পদে নেই।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমির ফয়সাল বলেন,আনোয়ার হোসেনের বুক ও পেটে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারী জানান, তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আনোয়ারের মৃত্যু হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ বিস্তারিত যাচাই করা হচ্ছে।