সম্প্রতি ভালুকা উপজেলার বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু এক জনসভায় ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদসহ উপজেলা প্রসাশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বিরুপ মতব্য করেছেন। এতে বাচ্চু ও উপজেলা প্রসাশনের দ্বন্দ এখন চরমে উঠেছে। ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু এক জনসভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রসাশনের সকল কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কাজ করেন এবং উন্নয়নের নামে সরকারী সম্পদ আত্নসাধ করছেন। তিনি আরো বলেন উপজেলা প্রসাশন তার অনুসারীদের মুল্যায়ন করেন নি বিশেষ কিছু লোককে সুবিধা দিয়ে উন্নয়নের নামে সরকারী সম্পদ তসরোপ করছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে হুমকি স্বরুপ বলেন নির্বাচনের পর আপনাকে খুজে ভালুকা এনে বিচার করা হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চুর বক্তব্য ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ফেইসবুকের ট্রেটাস ঘোরে বেড়াচ্ছে। দুই জনের পাল্টাপাল্টি বক্ত্যব নিয়ে ভালুকা উপজেলার সাধারন মানুষের মাঝে পক্ষে বিপক্ষে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চুর এসব বক্তব্যে প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ একটি ট্রেটাস দিয়েছেন। তিনি সেখানে উল্লেখ করেন রাত দিন পরিশ্রম করে ভালুকার উন্নয়নের জন্য কাজ করছে উপজেলা প্রসাশন। স্থানীয় প্রসাশনের কোন কর্মকর্তা কারও কাছ থেকে কোন প্রকার অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করেনি। দায়িত্বশীল একজন নেতার কাছ থেকে এমন কান্ড জ্ঞানহীন বক্তব্য আশা করেনি উপজেলা প্রসাশন। তিনি আরো উল্লেখ্য করেন ২০২৪ সালে ৫ আগষ্টের পর ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চুকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। এরপরও উপজেলা প্রসাশন বাচ্চু ও তার অনুসারীদের যথাযত মুল্যায়ন করেছেন। সরকারী সকল কর্মকর্তাদের নিয়ে ফখর উদ্দিন আহাম্মেদ বাচ্চু জ্ঞ্যানহীন বক্তব্য দেয়া উপজেলার সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মান ক্ষুন্ন ও তাদেরকে মারাক্তক ভাবে আহত করেছে।