দীর্ঘ পাঁচ মাসের অধিক সময় ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ শুন্য হয়ে পরে রয়েছে। এসব পদে পূর্ণাঙ্গ নিয়োগ না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওপর ভর করে। ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া ও দাপ্তরিক কাজকর্মে তৈরি হয়েছে নানামুখী জটিলতা।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৩ মে শিক্ষার্থীদের টানা ২৯ দিনের আন্দোলনের পর তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মামুন আর রশিদকেও দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর পাঁচ মাসেরও অধিক সময় পার হলেও এখনো এসব পদে কোনো নতুন নিয়োগ দেয়া হয়নি।
পাশাপাশি চলতি বছরের ৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৮তম সিন্ডিকেট সভায় রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে অবসরে পাঠানোর পর থেকে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রক্রিয়ায়। কখনো একজন শিক্ষক, আবার কখনো ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।
অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস, চারটি আবাসিক হলের প্রভোস্ট, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিয়ান, ছাত্র-শিক্ষক পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করার জন্য গঠিত ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল এবং একাধিক কমিটিও চলছে ভারপ্রাপ্তদের হাতে।
ববি’র একাধিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন পদগুলো শুন্য থাকায় প্রশাসনিক কাজ স্থবির হয়ে পরেছে। একজনের ওপর একাধিক দায়িত্ব দেয়ায় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তারা দ্রুত পদগুলোতে নিয়োগ দিয়ে সংকট নিরসনের দাবি করেন। এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) দপ্তর-১ এর সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে ববির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিয়ে কার্যক্রমে কোনো জটিলতা হচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন-তিনটি শীর্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। এ বিষয়ে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।