আগামীর বাংলাদেশ হবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে। বিগত পনের বছর একটি দল একটি পক্ষ বাংলাদেশকে কুক্ষিগত করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। আবার কেউ কেউ স্বপ্ন দেখছে আগামী পনের বছর ক্ষমতা আগলে ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি করতে। বাংলার মানুষ রক্ত দিয়ে যে ফ্যাসিবাদকে বিতারিত করেছে নতুন করে আর কোন ফ্যাসিবাদের কাছে বাংলার মাটি ইজারা দেয়া হবে না বলে হুশিয়ার করে দেন। বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে নতুন বাংলাদেশ গড়তে বৈষম্য বিরোধী রাষ্ট্র গঠনে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। আগামীর বাংলাদেশ হবে জুলাই সনদের ভিত্তিতে ইসলামী হুকুমতের ইনসাফের বাংলাদেশ। দিল্লির প্রেসক্রিপশনে যে সংবিধান রচনা করা হয়েছে এর ভিত্তিতে স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদ মুক্ত হবে না। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কটিয়াদী সরকারি হাইস্কুল মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নির্বাচনী জন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মোহাম্মদ মামুনুল হক এ কথা বলেন। তিনি ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একই দিনে অনুষ্ঠিতব্য গণভোটে হ্যাঁ এর পক্ষে ভোট দেয়ার আহবান জানান। তবেই জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হবে।
সমাবেশে কিশোরগঞ্জ-২, কটিয়াদী পাকুন্দিয়া আসনের বাংলাদেশ খেলাফত মজলিলের প্রার্থী মাওলানা শফিকুল ইসলাম রুহানীকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে রিকশা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। মাওলানা তাফাজ্জল হক রাশিদীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কিশোরগঞ্জ-২, কটিয়াদী পাকুন্দিয়া আসনের প্রার্থী মাওলানা শফিকুল ইসলাম রুহানী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিলের যুগ্ম মহা সচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হেদায়েত উল্লাহ হাদী, যুগ্ম মহা সচিব মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা ফজলুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরও বলেন, ধর্ম, বর্ণ ভিন্নমত সবার জন্য খেলাফত। বিগত সময়ে সংখ্যালগুঘুদের নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। রাতে ছোবল মারতো আর দিনে ওঝা হয়ে ঝাড়তো। ইসলামী হুকুমতে ইনসাফের বাংলাদেশ গঠিত হলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সকল ধর্মের মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। বরং সংঘ্যালঘুদের অধিকার যারা হরণ করেছে সেগুলো পাই পাই করে আদায় করা হবে। সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।