আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে বিশেষ ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।পিলখানায় বিজিবির নির্বাচনী মহড়া পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এবং নির্বাচনের সময় সবকিছু স্বাভাবিক থাকবে।
বুধবার সকালে বিজিবি সদর দপ্তরে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ও মক এক্সারসাইজ দেখার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, রেড, ইয়েলো ও গ্রিন—এই তিন স্তরে ঝুঁকি নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী বাহিনী মোতায়েন করা হবে। আগামী ৩০ নভেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে ডেপ্লয়মেন্ট স্ট্র্যাটেজি চূড়ান্ত করা হবে।
সিইসি বলেন, ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ের তুলনায় এখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাঁর ভাষায়, মানুষ এখন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছে এবং ধীরে ধীরে পরিস্থিতি আরও উন্নতি হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভোটের তারিখ যত এগোবে ততই পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে।
পিলখানায় মহড়া দেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও অন্যান্য বাহিনী নির্বাচনকে সামনে রেখে আলাদা প্রশিক্ষণ নিয়েছে। দীর্ঘ বিরতিতে নির্বাচনী দায়িত্ব না আসায় সদস্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হয়, যা এবার প্রতিটি বাহিনী গুরুত্বের সঙ্গে পালন করছে। তাঁর মতে, এসব প্রশিক্ষণ নির্বাচনের দিন মাঠের পরিস্থিতি সামলাতে বড় ভূমিকা রাখবে।
একটি দল কর্তৃক নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণার বিষয়ে সিইসি বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, সাংবাদিক, ভোটার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইসি প্রস্তুত।
সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী কন্টিনজেন্ট হিসেবে কাজ করে, তাই তাদের মোতায়েন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বিবেচনার ভিত্তিতে। অন্য বাহিনীর মতো একজন বা দুজন করে সেনা সদস্য মোতায়েন করা যায় না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিজিবি জানিয়েছে, এবার নির্বাচনী দায়িত্বে সারা দেশে বাহিনীর বারো শতাধিক প্লাটুন কাজ করবে। সীমান্তবর্তী ১১৫টি উপজেলার মধ্যে ৬০টি উপজেলায় বিজিবি এককভাবে দায়িত্ব পালন করবে। সিইসি মনে করেন, এসব প্রস্তুতি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা জাতিকে সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, সব বাহিনী এবং ১৩ কোটি ভোটারের সহযোগিতায় সেটি অর্জন করতে পারব।”