সচিব আদেশ দেওয়ার পরও পুঠিয়ার অবৈধ মার্কেট ভাঙছেন না ইউএনও

কে এম রেজা; পুঠিয়া, রাজশাহী
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম | প্রকাশ: ৪ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৭:৫৫ পিএম
সচিব আদেশ দেওয়ার পরও পুঠিয়ার অবৈধ মার্কেট ভাঙছেন না ইউএনও
পুঠিয়ায় ঢাকা-রাজশাহী সড়কের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে উপজেলা পরিষদ মার্কেট নির্মাণ করে রেখেছেন। বর্তমানে মার্কেটের কারণে উপজেলা পরিষদের সামনে এবং মহাসড়কে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২৭ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিব মহদয় সরকারি এক কার্যক্রমে পুঠিয়ায় এসে রাজপ্রাসাদের সামনে জনসম্মখে উপজেলা প্রশাসনকে মডেল মসজিদের সামনে থাকা অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদ করতে আদেশ দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা অবহেলা গাফিলতি করে উচ্ছেদ করা হয়নি। কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের অবহেলার কারণে মসজিদ নির্মাণ করার পর অদ্যবধি উপজেলা মার্কেটের অবৈধঘরগুলি ভাংঙা হয়নি।

মসজিদের সামনে ফুটপাত দখল করে অনেকে আবার রমরমা ব্যবসা করছে। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক দিয়ে যানবহন চলাচল করতে গেলে উপজেলা পরিষদের সামনে এবং মহাসড়কে প্রায় সময়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে মসজিদের সামনে সড়ক পাড়াপাড়ের সময় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। এখনো পর্যন্ত তা অবহেলা গাফিলতি করে উচ্ছেদ করা হয়নি। সানোয়ার হোসেন সানু বলেন, আমার উপজেলা পরিষদের মার্কেটে একটি ঘর বরাদ্দ ছিল। মসজিদের সামনে মুসল্লিদের যাতায়তে অসুবিধার স্বার্থে আমিসহ দুইজনের ঘর উপজেলা পরিষদ তখন ভেঙে দেয়। কিন্তু অন্য ঘরগুলি এখনো পর্যন্ত ভাংঙা হয়নি। উপজেলা সদরের রিপন আহম্মেদ বলেন,সচিব মহদয়ের আদেশ অমান্য করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মার্কেটের ঘর বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে মোটাঅংকের অনৈতিক সমঝোতা হওয়ায় মাকের্টের ঘরগুলি সে ভাঙছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা প্রশাসনের এক ব্যক্তি বলেন, টাকার বিনিময়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মহদয়কে নয়ছয় বুঝিয়ে উপজেলার প্রশাসন ঘরগুলি আর ভাংঙাচুড়া করবে না। এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম নূর হোসেন নির্ঝর এফএনএসকে বলেন, আমি ঘর মালিকদের অন্যত্র চলে যেতে বলেছি। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ফোরলেন কাজ শুরু হলে,আমাদের উপজেলা পরিষদের জায়গায় সীমানা প্রচীর দেওয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় থাকা উপজেলা পরিষদের মার্কেট তখন ভাংঙা পড়বে। আমি জেলা প্রশাসক মহদয়কে ঘরসংক্রান্ত বিয়য়ে সবকিছু বুঝিয়ে বলেছি।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে