বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনাপত্তিপত্র উপেক্ষা করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) নিয়োগ পাওয়া ১০ শিক্ষক যোগদানের পর থেকেই বেতন-ভাতা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পরেছেন।
গত বছরের মার্চ ও জুন মাসে দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ৫১টি প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে একবছরের মধ্য নিয়োগ দিতে না পারায় ইউজিসি পদগুলো ব্লক করে দেয়। পদগুলো ছাড় না করিয়েই চলতি বছরের ৭ জুলাই ৫১ প্রভাষক পদের মধ্যে মাত্র ১০টি প্রভাষক পদে পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগের তোড়জোড় শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ইউজিসির অনাপত্তিপত্রে র তোয়াক্কা না করে ১০ পদে পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তড়িঘড়ি করে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু নিয়োগে ইউজিসির পর্যবেক্ষণ ও অনাপত্তিপত্র না থাকায় বেতন ভাতা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। ক্লাস-পরীক্ষাসহ নিয়মিত দাপ্তরিক কাজ করেও বেতন না পাওয়ায় চরম হতাশা ও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরেছেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এই শিক্ষকরা। নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও বেতন জটিলতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষ করে নিয়োগ পাওয়ার পর বেতন নিয়ে এমন জটিলতা সত্যিই আমাদের জন্য লজ্জাজনক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) খান সানজিয়া সুলতানা বলেন, আমি শুনছি তাদের বেতন এখন পর্যন্ত হয়নি। ইউজিসির অনাপত্তি পর্যবেক্ষণ রিপোর্টের জন্য তাদের বেতন আটকে আছে। আর এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি। উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলম বলেন, একটু টেকনিক্যাল সমস্যা ছিল। আমরা কাজ করছি। খুব শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীম উদ্দিন খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে এ সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে দ্রুত চিঠি দেওয়া হবে। বাকি ৪১ পদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন-এ বিষয়ে পরবর্তীতে মিটিং করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ইউজিসি।