বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৬ আসনের মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন শুক্রবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে মিলব্যারাক জিরো পয়েন্টে নবনির্মিত ফোয়ারা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বললেন, “নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে কোন সংস্কারই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া হতে পারে, কিন্তু নির্বাচন থামিয়ে রাখা যায় না। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন।”
ইশরাক হোসেন বলেন, “বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে। সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মাধ্যমে। গত ১৭ বছরে ফ্যাসিবাদী শাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভক্ত করা হয়েছে। ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ’ বলে জাতিকে ভাগ করে শোষণ চালানো হয়েছে। এই বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছে।”
২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানকে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “এক মাসে দেড় হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে এবং এই আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেয়া যাবে না। নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র চলছে। বিএনপি ঐক্যবদ্ধ থাকলে জনগণ তাদের পাশে থাকবে। তিনি প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবির সমালোচনা করে বলেন, এটি বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারণ, এতে এলাকার জনগণ তাদের প্রকৃত প্রতিনিধি বেছে নেয়ার সুযোগ হারাবে।”
বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সংঘটিত গুম-খুন ও নির্যাতনের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ইলিয়াস আলীসহ অসংখ্য নেতাকর্মীর গুম ও হত্যার বিচার চাই। তবে তা হতে হবে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থার মাধ্যমে, প্রতিহিংসার ভিত্তিতে নয়।
তিনি দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সিসিইউতে রয়েছেন। দেশবাসীর কাছে তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চাই।’
এলাকাবাসীর উদ্দেশে বিএনপির এই তরুণ নেতা বলেন, “আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে এবারের নির্বাচনে একটি সুযোগ চাই। যদি ভুল করি, আপনারাই পরের নির্বাচনে তার বিচার করবেন। জনগণের সমর্থনই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।”