নীলফামারীর সৈয়দপুরে হাতের মেহেদি মুছে না যেতেই পাষন্ড স্বামীর হাতে হত্যার শিকার হলো নববধূ বিউটিশিয়ান মুক্তা খাতুন (২৪)। সে কাজ করতো শহরের ড্রিম বিউটি পার্লারে। এ ঘটনায় হত্যাকারী স্বামী মোঃ রানাকে (৩০) পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। এটি ঘটেছে শহরের কাজীপাড়ার কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ সড়কে রেববার ভোরে। এলাকাবাসী জানান,গত ২৯ ডিসেম্বর ঘটা করে বিয়ে হয় শহরের গোলাহাট এলাকার মোস্তফা কামালের মেয়ে মুক্তা খাতুনের। তার স্বামীর বাড়ি শহরের কুন্দল গ্রামের পশ্চিম পাড়ায়। সে বাবুল ইসলামের ছেলে। তারা ভাড়ায় থাকতো কাজীপাড়ার আব্দুল লতিফ সড়কের একটি বাসায়। কিন্তু নির্মম পরিহাস বিয়ের সাত দিনের মাথায় ওই নববধূকে শ্বাষরোধ করে হত্যা করা হলো। স্থানীয়রা বলেন, ভোরের আজানের সময় মুসল্লিরা নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এ সময় কানাঘুষা শুনে এলাকার মানুষ ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। একপর্যায়ে তারা দেখে নববধূ মুক্তার দেহ নিথর হয়ে পড়ে আছে বিছানায়। সন্দেহের তীর স্বামী রানার দিকে যায়। ফলে হত্যার অভিযোগে রানাকে আটকিয়ে রাখে প্রতিবেশীরা। পরে পুলিশকে দেয়া হয় খবর। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ লাশসহ স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফইম উদ্দিন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন।