বাগেরহাটের চিতলমারীতে পলাতক শেখ হাসিনা সরকারের আশ্রায়ণ প্রকল্প-২, এর বসবাসরত ৮৩টি পরিবারের মানবেতর দিন কাটছে। ২০২৪ সালের ৪ জুন মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের অর্ন্তগত কলাতলা ওয়ার্ডের মেলারকুল আশ্রায়ণ প্রকল্পের ৮৩ টি ঘরের শতভাগ কাজ শেষ না করে উপকার ভোগিদের মাঝে দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রশাসন। যে ঘরগুলোয় বসবাসরত মানুষের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা নাই, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানিসহ ঘরের ভেতর ও বাহিরে নানাবিধ কাজ রয়েছে অসমাপ্ত। বিদ্যুৎ বিহীন রাতে পরিত্যাক্ত ঘরগুলোতে মাদকসেবী ও বখাটেদের উপদ্রব প্রতিদিনের। আশ্রায়ণ প্রকল্পে বসবাসরত আকলিমা বেগম,রানী দেবী, শ্রীমতি ও মোঃ আকা শেখসহ সকলের এই অভিযোগ। ৫ সদস্য বিশিষ্ট অশ্রায়ণ প্রকল্পের সাবেক সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আসমত হোসেন ও নয়নরাজ বংশীসহ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অপূর্ব দাস ইতিপুর্বে বদলী হয়ে যান। এর পর কাজের তেমন অগ্রগতি নাই। কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। আর বিপাকে পড়েছেন এখানকার ৮৩টি পরিবার। বিশেষ করে টয়লেট, সুপেয়পানিও বিদ্যুৎ না থাকায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সরেজমিনে আশ্রায়ণ প্রকল্পের রাজমিস্ত্রি কেরামত শেখ (৪০) এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, এখানে অনেক কাজ বাকী রয়েছে। চলমান লেবার মিস্ত্রির কাজের টাকা সাবেক ইউএনও আসমত স্যারের নিকট থেকে এনে, ইঞ্জিনিয়ার সাদ্দামস্যার আমাকে দেন আমি প্রেমেন্ট করি । এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন জানান, আশ্রায়ন প্রকল্পের টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয়া ছাড়া আর্থিক কোন কাজ তার নাই। এব্যপারে সাবেক ইউএনও মোঃ আসমত হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে কথা বলার মাধ্যমেই তিনি ফোন কেটে দেন। অপর দিকে সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অপূর্ব দাস ফোন রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য: ২০২৪ সালের ৪ জুন মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের অন্তর্গত কলাতলা ওয়ার্ডের মেলারকুল আশ্রায়ন প্রকল্পের ৮৩ টি ঘরের কাজ অসম্পন্ন রেখে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে দলিল ও চাবি প্রদান করা হয়।