১৪ বছর পর চাটমোহর পৌর বিএনপি’র সম্মেলন

এফএনএস (হেলালুর রহমান জুয়েল; চাটমোহর, পাবনা) :
| আপডেট: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম | প্রকাশ: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
১৪ বছর পর চাটমোহর পৌর বিএনপি’র সম্মেলন

দীর্ঘ ১৪ বছর পর পাবনার চাটমোহর পৌর বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে দীর্ঘ বছর পর নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্যতা দেখা দিয়েছে। সরব হয়ে উঠেছে চাটমোহরের রাজনীতির মাঠ। ইতিমধ্যে স্থানীয় বিএনপির প্রার্থীদের দু’টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রার্থীরা কাউন্সিলরদের সাথে কুশল বিনিময় করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে ক্ষোভ ও অভিযোগও রয়েছে। গত শনিবার প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে,কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১১ জানুয়ারি চাটমোহর পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। এরআগে ৪ জানুয়ারি এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। ২০২৩ সালের ১৪ মে চাটমোহর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি এ এম জাকারিয়াকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়। আর সর্বশেষ ২০১০ সালে চাটমোহর পৌর বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে এ এম জাকারিয়া সভাপতি, আরোজ খান সাধারণ সম্পাদক ও অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। জানা গেছে,সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীরা বেশ উচ্ছ্বসিত। কারা প্রার্থী হলেন,কে কেমন,কে জিতবেন,কারা হবেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমন নানা বিষয় উঠে আসছে তাদের আলোচনায়। বিএনপি’র এক পক্ষের প্যানেল প্রার্থী হলেন-সভাপতি পদে আসাদুজ্জামান আরশেদ,সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলঅম তাইজুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আব্দুল মুতালিব প্রামাণিক। অপরদিকে অন্য গ্রুপের আরেকটি প্যানেলে প্রার্থী হয়েছেন সভাপতি এ এম জাকারিয়া,সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জিয়ারুল হক সিন্টু। এদের মধ্যে সভাপতি প্রার্থী আসাদুজ্জামান আরশেদ চাটমোহর পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এবং এ এম জাকারিয়া পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইদুল ইসলাম পৌর বিএনপির বর্তমান সদস্য সচিব ও তৌহিদুল ইসলাম তাইজুল পৌর ছাত্রদলের নির্বাচিত সাবেক সভাপতি। সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী শেখ জিয়ারুল হক সিন্টু চাটমোহর পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও আব্দুল মুতালিব প্রামাণিক পৌর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। সভাপতি প্রার্থী এ এম জাকারিয়া বলেন,“দীর্ঘ বছর ধরে চাটমোহর পৌর বিএনপির হাল ধরে আছি। নেতাকর্মীরাও আমাকে ভালবাসেন। তাদের প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পেয়েছি সেটি মূল্যায়ন তারাই করবেন। তবে সম্মেলন ঘিরে নেতাকর্মীরা খুব উৎফুল্ল। আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে সম্মেলন করতে চাই।” সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম তাইজুল বলেন,“দীর্ঘদিন ধরে আমি মাঠের রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকেছি। নেতাকর্মীদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। দলের দু:সময়েও পিছপা হইনি। আন্দোলন করতে গিয়ে একমাস কারাভোগ করতে হয়েছে। অনেক বছর পর চাটমোহর পৌর বিএনপির কাউন্সিল হচ্ছে দেখে আমরা খুব খুশি। আমি বিশ্বাস করি কাউন্সিলররা আমাকে মূল্যায়ন করবেন।” সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী শেখ জিয়ারুল হক সিন্টু বলেন,“আমি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে সক্রিয় রয়েছি। পৌর যুবদলের সভাপতি সহ বিভিন্ন পদের দায়িত্ব পালন করেছি। আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রেখেছি। বিগত সরকারের আমলে ৪টি গায়েবি মামলার আসামি হয়েছি ও কারাবরণ করেছি। দলকে সুসংগঠিত করতে পৌর কাউন্সিলে সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলরদের কাছে ভোট, দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি।” অন্য সভাপতি প্রার্থী আসাদুজ্জামান আরশেদ ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এ্যাড.সাইদুর রহমান জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। দলীয় সূত্র আরো জানায়, চাটমোহর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ড কমিটির সকল সদস্যই কাউন্সিলর হিসেবে বিবেচিত হবেন। কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে পৌর নেতা নির্বাচিত হবেন। প্রতিটি ওর্য়াড কমিটির সদস্য সংখ্যা ৭১ জন। তবে শুধুমাত্র ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। মোট কাউন্সিলরের সংখ্যা ৫৭৪ জন। তবে ভিআইপি কাউন্সিলরের সংখ্যা ৬ থেকে ৮ জন হতে পারে। এদিকে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কমিটি নিয়ে ক্ষোভ ও অভিযোগ রয়েছে। মৃত ব্যক্তি,প্রবাসী ছাড়াও জামায়াতে ইসলামীর একটি ওয়ার্ডের সেক্রেটারীও  বিএনপির ওয়ার্ড কমিটির সদস্য ও আসন্ন কাউন্সিলে কাউন্সিলর।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে