কর্মবিরতির মধ্যেই পরীক্ষা নেওয়ার কঠোর নির্দেশ, না মানলে ব্যবস্থা জানালো মাউশি

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর মাউশি জানিয়েছে, দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক, নির্বাচনী ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার কাজে কোনো বিলম্ব বা শৈথিল্য দেখালে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্দেশনায় জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বার্ষিক পরীক্ষা চলছে ২০ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার থেকে এবং তা চলবে ৭ ডিসেম্বর, রোববার পর্যন্ত। নির্বাচনী পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার থেকে ১১ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। আর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা ২৮ নভেম্বর, রোববার থেকে ৩১ ডিসেম্বর, বুধবার পর্যন্ত দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে। সময়সূচি অনুযায়ী এসব পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, অধ্যক্ষ এবং প্রধান শিক্ষকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর চলমান পরিস্থিতির কারণে মাউশির নির্দেশনা আরও গুরুত্ব পেয়েছে। কারণ শিক্ষকরা সোমবার থেকেই কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের দাবি, সরকার চাকরিজীবী শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিক। তারা বলছেন, দাবি পূরণ না হলে পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত রাখা হবে।

শিক্ষক নেতারা জানান, তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের গেজেট প্রকাশ, বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় শূন্য পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি কার্যকর করা, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড অনুমোদন এবং ২০১৫ সালের আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের দুই থেকে তিনটি ইনক্রিমেন্টসহ উন্নত বেতন-সুবিধা পুনর্বহাল করা।

মাউশির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা গ্রহণে শিক্ষক বা কর্মকর্তাদের কোনো অনিয়ম দেখা গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরীক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।