সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সরকারি পাঠাগার তৈরি করছে। মন্ত্রণালয়ের গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্থানীয় কমিউনিটিতে গ্রন্থাগারের অবস্থান জোরদার করতে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। তারই আলোকে গত ২৬ মে তিনি বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালকদের সঙ্গে জুম মিটিং করেন। ওই সভার পর সহকারী পরিচালকরা নিজ নিজ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ভবন কিংবা জায়গা নির্ধারণ করে প্রতিবেদন পাঠানোর তাগিদ দেন। এরই প্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় পাঠাগার ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু ব্যত্যয় ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায়।
অভিযোগ রয়েছে,পাঠাগার নির্মাণের ওই নির্দেশনা নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর-ই-আলম সিদ্দিকী দায়সারাভাবে পালন করেছেন। ইউএনও তার পাঠানো প্রতিবেদনে পাঠাগারের নতুন ভবনের জন্য জায়গার প্রস্তাবনা না দিয়ে উপজেলা কমপ্লেক্সের একটি কক্ষ বরাদ্দ দিতে পারবে বলে উল্লেখ করেছেন।
ফলে পাঠাগারের জন্য ভবন নির্মাণের বরাদ্দকৃত ৫৩ লাখ টাকা সম্প্রতি ফেরত চলে গেছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। এমন ঘটনায় হতবাক সৈয়দপুরের বিশিষ্টজনরা।
এ নিয়ে কথা হয়,সৈয়দপুর শহরের একাধিক জনের সঙ্গে। তারা দাবি শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতি সৌধটি বিমানবন্দর সড়কের পাশেই অবস্থিত। এছাড়া স্মৃতিসৌধ এলাকার আশপাশে অবস্থিত সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ,আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ,লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ,ক্যান্ট বোর্ড স্কুল। সুতারাং শহীদ স্মৃতি সৌধ এলাকায় এটি করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে ইউএনও নুর-ই-আলম সিদ্দিকীর মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। ফলে মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।