রাজনৈতিক মামলায় জামায়াত ও বিএনপির ৫ কর্মী আসামী

এফএনএস (টি এম কামর“জ্জামান লাবু; রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ) : : | প্রকাশ: ৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:০২ পিএম
রাজনৈতিক মামলায় জামায়াত ও বিএনপির ৫ কর্মী আসামী

গত ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ তাড়াশ) আসনের বিএনপির ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী আব্দুল মান্নান তালুকদারের নির্বাচনী সভায় রামদা, হকিস্টিক দিয়ে হামলা করে আওয়ামী ও তার সহযোগী শতাধিক নেতা কর্মীরা। সেই ঘটনার হামলা কারীদের ৬৫ জনকে আসামী করে রায়গঞ্জ থানায় এজাহার দায়ের করেছেন পৌর বিএনপি ৭নং ওয়ার্ডের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মকিমপুর গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন। এজাহার সুত্রে জানাযায়, গত ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহণ করে। সেই নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নান তালুকদার ধানের শীষ প্রতিকে নিবার্চন করেন। গত ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে বিকেল ৫ টায় পুর্বঘোষিত নির্বাচনী জনসভা শুরু হয় উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যলয়ের সামনে। সেই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য চলা অবস্থায় পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে আওয়ামী লীগের শতাধীক নেতা কর্মী রামদা, লোহার রড, হকিস্টিক, কাঠের বাটাম ও লাঠি দিয়ে হামলা চালায় উক্ত সভায়। জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করার লক্ষ্যে তাদের রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য উক্ত সভায় ৭টি ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। এই ঘটনায় আমিসহ বিএনপি দলের অনেক নেতা কর্মী ককটেলের আঘাতে আহত হন। এ সময় নেতা কর্মীরা আতঙ্কিত হইয়া এদিক সেদিক দৌড়াতে থাকিলে আসামীগন হকিস্টিক ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্য তার উপর আঘাত করলে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে জখম হয়। এ সময় বিএনপির অনেক নেতা কর্মী আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। আসামীগন সভা স্থলে থাকা চেয়ার, টেবিল, মাইকসহ ১৫ টি মটর সাইকেল ভাংচুর করে। এতে ২০ লক্ষ্য টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ২০২৪ সালে ২০ নভেম্বরে বিএনপি ও জামাতের ৫ কর্মী সহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৪০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। মামলার অভিযুক্তদের মধ্যে (২৩) নাম্বার আসামী উপজেলার রনতিথা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে বিএনপির সমর্থক সুমন। (৩৭) নাম্বার আসামী রনতিথা গ্রামের আমির চানের ছেলে যুবদলের সদস্য শামীম আজাদ। (৩৮) নাম্বার আসামী গুনগাতী গ্রামের গোলাপ হোসেনের ছেলে জামায়াতের সমর্থক মাসুদ রানাকেও বিগত সরকারের সময় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে ছিল। (৬২) নাম্বার আসামী রনতিথা গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে বিএনপির সমর্থক জাকির হোসেন ও (৬৩) নাম্বার আসামী রনতিথা গ্রামের মৃত মনির হোসেনের ছেলে জামায়াতের সমর্থক সেলিম হোসেন। রাজনৈতিক মামলার বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মীরা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমরা ৫ জনই দীর্ঘদিন বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমরা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে অংশ গ্রহণ করেছি। জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই আমাদেরকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যেই এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এ বিষয়ে পৌর বিএনপি সভাপতি হাতেম আলী সুজন জানান, আমি দলীয় নেতৃবন্দদের সঙ্গে কথা বলে সমাধনের চেষ্টা করব। এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমীরের সাথে কথা হলে তিনি জানান,  মাসুদ রানা ও সেলিম হোসেন আমাদের দলীয় কর্মী। মাসুদ রানাকে বিগত আওয়ামী সরকার আমলেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে ছিল। তিনি আরো জানান, পারিবারিক সংক্রান্ত জের ধরে রাজনৈতিক মামলায় তাদের আসামী করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি সভাপতি শামছুল ইসলাম জানান, বিষয়টা আমি শুনেছি। শির্ঘ্রই  উভয় পক্ষের সঙ্গে বসা হবে। মামলার অভিযোগকারী আলমগীর হোসেন জানান, আমি এই মামলার বাদী, মামলায় যে ৫ জনের নাম উল্যেখ করা হয়েছে আমি তাদের চিনতাম না। মামলার পরে তাদের পরিচয় পেয়েছি। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, মামলাটির তদন্ত চলছেথ

0 LIKE
0 LOVE
0 LOL
0 SAD
0 ANGRY
0 WOW
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে