রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভূমি অফিসকে দালালমুক্ত ও স্বচ্ছ সেবার আওতাভুক্ত করতে কঠোর উদ্যোগ নিয়েছেন সদ্য যোগদান করা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভূঁঞা। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি ভূমি অফিসে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, হয়রানি বন্ধ করা এবং সেবা প্রত্যাশীদের প্রকৃত অধিকার নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছেন।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, বাগমারার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে এই বৃহৎ উপজেলার জনগণ দীর্ঘদিন ধরেই ভূমিসেবা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন। বিভিন্ন সময় দালালদের দৌরাত্ম্য, অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগ উঠলেও টেকসই ব্যবস্থা ছিল না। তবে নতুন সহকারী কমিশনার যোগদানের পর এই পরিস্থিতির পরিবর্তন শুরু হয়েছে।
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি ভূমি অফিসের পরিবেশ স্বচ্ছ ও দালালমুক্ত করতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সেবা নিতে আসা জনগণকে হয়রানি ও প্রতারণার দায়ে দুইজনের নিকট থেকে জরিমানা করেছেন তিনি। সেই সাথে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সহকারী কমিশনার সাইফুল ইসলাম ভূঁঞা বলেন, “ভূমি অফিস জনগণের সেবাকেন্দ্র। এখানে কেউ হয়রানির শিকার হবে না। দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছি।” তিনি আরও জানান, ভূমি অফিসে স্বচ্ছতা ফেরাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি ভূমিসেবা পেতে আগ্রহী সকল নাগরিককে দালালদের সহযোগিতা না নেওয়ার অনুরোধ জানান এবং ভূমি সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা সরকার নির্ধারিত নিয়মেই যেন সহজ ও স্বচ্ছভাবে পায়—সেই নিশ্চয়তা দিতে প্রশাসন সর্বদা প্রস্তুত বলেও জানান।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা নতুন এসিল্যান্ডের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটিয়ে দালালমুক্ত ভূমি অফিস গঠনে প্রশাসনের এমন সক্রিয়তা প্রয়োজন ছিল। এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে জনগণ প্রকৃত অর্থেই সেবার মান উন্নত হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
প্রশাসন একদিকে স্বচ্ছতা বাড়াতে কাজ করছে, অন্যদিকে জনগণকে ভূমি সেবার বিষয়ে সচেতন করতে তথ্য প্রচারও বাড়ানো হচ্ছে। বাগমারায় দালালমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা স্থায়ী করতে এসিল্যান্ডের এই উদ্যোগ নতুন আশা জাগিয়েছে।