মুলাদীতে পরীক্ষা নেওয়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের তালা, ভেঙে প্রবেশ করলেন শিক্ষা কর্মকর্তা

এফএনএস (মোঃ আরিফুল হক তারেক; মুলাদী, বরিশাল) : | প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৮:১০ পিএম
মুলাদীতে পরীক্ষা নেওয়ায় বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের তালা, ভেঙে প্রবেশ করলেন শিক্ষা কর্মকর্তা

বরিশালের মুলাদীতে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ায় বিদ্যালয়ে তালা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। সংবাদ পেয়ে তালা ভেঙে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌর সদরে মুলাদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষকের বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে সামনে যান এবং বেলা ২টার পর্যন্ত মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক রায়হান রাসেল, মো. মাহতাব হোসেন, রেশমা আক্তার মনি, বেবি আক্তার, মিনারা আক্তার লিপি, মোসাম্মৎ খাদিজা বেগম, শামীমা আক্তার সোনিয়া প্রমুখ। 

মুলাদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কেনান সরদার জানান, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে গত ২ ডিসেম্বর বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু করা হয়। কিন্তু শিক্ষকেরা পরীক্ষা গ্রহণে কোনো প্রকার সহযোগিতা করছেন না। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরু করা হলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সহকারী শিক্ষক মাহতাব হোসেন ও গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করার জন্য চাপ দেন। সংবাদ পেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে যান এবং তালা ভেঙে প্রবেশ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে পরীক্ষা শেষ করার ব্যবস্থা নেন। 

আন্দোলনরত উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, দাবি আদায়ের জন্য শিক্ষকেরা কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা দিয়ে বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করেছেন। উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা সাধারণ শিক্ষকদের দাবি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণ করছেন। আন্দোলনে সহযোগিতা না পেয়ে শিক্ষকেরা ক্ষুদ্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার মুলাদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলো।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জিম্মি করে বার্ষিক পরীক্ষা বাদ দিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক। ডিসেম্বর মাসে বন্ধ শুরু হলে এসব শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া অনেকটা অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই শিক্ষকদের দাবি আদায়ের জন্য বার্ষিক পরীক্ষার পরে কর্মসূচি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে