আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নওগাঁ-১(পোরশা-সাপাহার-নিয়ামতপুর) আসনে বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের সংসদ সদস্য প্রার্থীরা গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ আসনের বিভিন্ন গ্রাম, হাট-বাজারে সাধারন জনগনের কাছে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ সহ নানভাবে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন তারা। আসনটিতে বড় তিনটি দল প্রার্থী ঘোষনা করলেও ছোট কোন দলের পক্ষের প্রার্থীদের মাঠে দেখা যায়নি। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বিএনপির প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। দলটির সাবেক তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা ডাঃ ছালেক চৌধুরীকে মনোনয়ন না দেওয়ায় স্থানীয় তার সমর্থক নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং প্রতিনিয়িত তার পক্ষে মশাল মিছিল, মিটিং, মোটরসইকেল শোডাউন করছেন। তাদের দাবি মোস্তাফিজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল করে বীরমুক্তিযোদ্ধা ডাঃ ছালেক চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হোক। এ নিয়ে এ আসনে বিএনপি নেতাকর্মীরা দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এরপরেও থেমে নেই মোস্তাফিজুর রহমান। প্রাথমিক মনোনয়ন পাবার পর থেকে আসনটির বিভিন্ন স্থানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফার লিফলেট বিতরণ সহ মোটরসাইকেল শোডাউন, সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিগত সময়ের বিএনপির দূর্গখ্যাত এই আসনে শেষ পর্যন্ত চুড়ান্ত মনোনয়নে বুঝা যাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ভোটের মাঠের খেলা। অপরদিকে, নিজনিজ দলের মনোনয়ন নিয়ে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন, হাটবাজার সহ বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন জামায়াত মনোননিত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মাও: আব্দুল হক শাহ। গণসংযোগকালে তারা স্থানীয় ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় সহ ক্ষমতায় গেলে উন্নয়নের কথা তুলে ধরছেন এবং নিজনিজ মার্কায় ভোট চাচ্ছেন। নির্বাচনীর অংশ হিসাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও গণসংযোগ করেন। জামায়াত, ই্সলামী আন্দোলনের স্থানীয় নেতারা বলছেন, অতীতের মত নির্বাচন এবারে হবেনা। নিরোপেক্ষ এবং স্বচ্ছ নির্বাচন হবে বলে তারা আশা করছেন। তারা ভোটারদের সাথে মিসছেন এবং তাদের পরিবার ও স্বজনদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। এসময় তাদের প্রার্থীদের কাছে পেয়ে ভোটাররাও উৎফুল্ল হয়ে উঠছেন। তারা জানান, ভোটারদের এমন স্বতস্ফুর্ত সমর্থনে তারাও খুশি। অপরদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিএনপি েেনতারা বলছেন, দল থেকে যাকে চুড়ান্ত মনোনয়ন দিবেন তারা তার পক্ষে কাজ করবেন। তবে তারা স্থানীয় ভোটারদের সমর্থন নিয়ে ধানের শীষের প্রার্থীর বিজয়ী হবে বলে মনে করছেন। আর এই বিজয়ী হওয়ার কারন হিসাবে তারা বলেন, বিগত বিএনপি সরকারের সময়ে এলাকার অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে। আর দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারে বিএনপিকে প্রয়োজন। এজন্য তারা বিজয়ী হওয়ার আসা করছেন।