রোবটিক্স ও আইওটি প্রযুক্তিতে কাজ করা বসুন্ধরা শুভসংঘের আগৈলঝাড়া সদস্য ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (সিআইএস) বিভাগের শিক্ষার্থী ইরান সরদার তরুণ উদ্ভাবক দেশের প্রযুক্তি খাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছেন। সম্প্রতি উদ্ভাবন করেছেন মেট্রোরেল বিয়ারিং প্যাড সেফটি মনিটরিং সিস্টেম, যা ইতোমধ্যে সারাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এছাড়াও তিনি এর আগে ‘রোবড’ তৈরিকরেছে আলোচনায় এসেছিলো।
ঢাকার মেট্রোরেলে বিয়ারিং প্যাড খুলে পরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল সেই প্রেক্ষাপটে ইরান সরদারের এই সিস্টেমকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তার উদ্ভাবিত প্রযুক্তিটি বিয়ারিং প্যাডের ক্ষয়, ত্রুটি বা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা আগেভাগেই শনাক্ত করতে সক্ষম। এর ফলে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, রক্ষণাবেক্ষণ ত্বরান্বিতকরণ এবং মেট্রোরেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড় ধরণের উন্নয়ন ঘটাতে পারে এই উদ্ভাবন।
ইরান সরদার বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের গৈলা গ্রামের মো. ইব্রাহীম সরদার ও মমতাজ বেগমের ছেলে। সে বসুন্ধরা শুভসংঘের আগৈলঝাড়া সদস্য ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিআইএস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. সারোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ইতোমধ্যেই এই প্রযুক্তি গণমাধ্যম ও প্রযুক্তি মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে ইরান সরদার। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করছেন তরুণ গবেষকদের এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নগর পরিবহন নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত ও আধুনিক করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ইরানসরদারের রোবটিক্স ও আইওটি নিয়ে দীর্ঘদিনের গবেষণা এবং তার উদ্ভাবনী অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অনুষ্ঠিত এআই ফেস্টে তাকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করেন সিআইএস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. সারোয়ার হোসেন মোল্লা আরো বলেন, তরুণ এই উদ্ভাবকের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে পেরে আমার ভালো লেগেছে, ইরানের গবেষণা ও উদ্ভাবন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব নয়, বরং দেশের উন্নয়নযাত্রায় তার অবদান অত্যন্ত মূল্যবান। ভবিষ্যতে এমন আরও উদ্ভাবন আমরা তার কাছ থেকে আশা করি।
তরুণ উদ্ভাবক ইরান সরদার তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দেশের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করাই আমার লক্ষ্য। মেট্রোরেল সেফটি সিস্টেম নিয়ে কাজ করতে পেরে গর্বিত। সামনে আরও গুরুত্বপূর্ণ সলিউশন নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আছে। প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করছেন ইরান সরদারের এই উদ্ভাবন বাংলাদেশকে স্মার্ট সিটির পথে আরও এগিয়ে নেবে এবং ভবিষ্যতের রেল ও অবকাঠামো নিরাপত্তা প্রযুক্তিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।