অপহরণ বাড়াচ্ছে আতঙ্ক: কঠোর পদক্ষেপ নিন

এফএনএস | প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:০১ পিএম
অপহরণ বাড়াচ্ছে আতঙ্ক: কঠোর পদক্ষেপ নিন

দেশে অপহরণসংক্রান্ত অপরাধের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। গত এক বছরে এই হার দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে মোট অপহরণের শিকার হয়েছিল ৬৪২ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৫১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৪৩ জন, মার্চে ৫১ জন, এপ্রিলে ৫৫ জন, মেতে ৫০ জন, জুনে ৩১ জন, জুলাইয়ে ৩২ জন, আগস্টে ২৭ জন, সেপ্টেম্বরে ৬৫ জন, অক্টোবরে ৯৬ জন, নভেম্বরে ৬৭ জন এবং ডিসেম্বরে অপহরণের শিকার হয় ৭৪ জন। এর মধ্যে আগস্ট পর্যন্ত প্রথম আট মাসে অপহরণের শিকার হয় ৩৪০ জন। ওই সময় মাসে গড়ে অপহরণ হয়েছে ৪২.৫ জন। চলতি বছরের একই সময়ে এই গড় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯.৩৮ জনে; যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। এর মধ্যে চলতি বছর জুলাই মাসে অপহরণের শিকার হয়েছে ১০৯ জন, যা গত ছয় বছরের মধ্যে একক মাস হিসেবে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। পুলিশ সদর দপ্তরের সূত্রমতে, অপহরণের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত বছরও অপহরণ ঘটনার সংখ্যা ছিল উল্লেখ করার মতো। গত বছর সারা দেশে অপহরণের ঘটনা ঘটে ৬৪২টি। এর মধ্যে কেবল রাজধানী ঢাকায়ই ১৩২টি অপহরণ সংঘটিত হয়। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে রাজধানীতে ৬১টিসহ সারা দেশে অপহরণের ঘটনা ঘটে ৪৬৩টি। ২০২২ সালে সারা দেশে অপহরণের ঘটনা ঘটে ৪৬০টি, এর মধ্যে ঢাকায় ৪৯টি। সম্প্রতি জানা গেছে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নে চার শিশুকে অপহরণ করেছে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা। অপহরণের চারদিন পর অপহরণকারীরা ফোন করে প্রতিটি পরিবারের কাছে দুই থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে বাহারছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফেজ আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “অপহরণকারীরা মোবাইলে ফোন দিয়ে প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে দুই থেকে তিন লাখ টাকা দাবি করছে।” গত রোববার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শিলখালী পূর্ব পাড়ায় পাহাড় থেকে নেমে আসা একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত ছয়জনকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে দুজন কোনোভাবে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও চারজন শিশু এখনও নিখোঁজ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী চক্রের অনেককেই গ্রেপ্তার করলেও এমন ঘটনা একের পর এক ঘটতে থাকা নিয়ে উদ্বেগ আর শঙ্কায় সাধারণ মানুষ। তাই অপরাধ মোকাবিলায় পুলিশের সক্রিয়তা এখন খুব জরুরি।