রাজধানীতে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এবং জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে মালিবাগের বাসা থেকে নিয়ে যায়। একটি মামলায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট পরিচয় দেওয়া এনায়েত করীমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি।
ডিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এনায়েত করীমকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে কয়েকটি ঘটনায় শওকত মাহমুদ নাম এসেছে। এনায়েত করীম নিজেকে মার্কিন নাগরিক এবং একটি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট পরিচয় দিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে উচ্চপর্যায়ের ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাবেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। রমনা থানার মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই জিজ্ঞাসাবাদেই শওকত মাহমুদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে বলে পুলিশের দাবি।
বিকেলে শওকত মাহমুদকে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি বলেন, মালিবাগের বাসা থেকে তাকে আনা হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে ডিবি পৃথকভাবে বিস্তারিত জানাবে। পরে ডিবি প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম জানান, রমনা থানার মামলায় শওকত মাহমুদকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
শওকত মাহমুদ সাংবাদিকতা অঙ্গনের পরিচিত মুখ। জাতীয় প্রেসক্লাব ও বিএফইউজের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি বছরের এপ্রিলে ইলিয়াস কাঞ্চনকে চেয়ারম্যান করে ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হলে শওকত মাহমুদ সেখানে মহাসচিব হন। এর আগে তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন, যদিও ২০২৩ সালের মার্চে তাকে দলীয় সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
পুলিশের দাবি, রাষ্ট্র অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের খুঁজতে গিয়ে এনায়েত করীমের নেটওয়ার্কে যাদের নাম পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোন অভিযোগে শওকত মাহমুদকে চূড়ান্তভাবে অভিযুক্ত করা হতে পারে, তা পরে জানানো হবে বলে ডিবি জানিয়েছে।