গ্রুপ ক্যাপ্টেন সবর উদ্দীন আহমদ(৮৮) দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগে ঢাকাস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শনিবার বেলা ১টা ১০ মিনিটে মৃত্যুবরন করেন। রোববার (৭ ডিসেম্বর) তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর পৌঁছলে শিংরাউলী কবরস্থান সংলগ্ন ঈদগাহে নামাজে জানাজা শেষে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি চৌকশ দল কবরস্থান এলাকায় গার্ড অব অনার প্রদর্শন করার পর তাঁকে কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
উল্লেখ্য ১৯৩৭ সালে তিনি শমশেরনগর একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। পাকিস্তান আমলে তিনি পাকিস্থান বিমান বাহিনীতে যোগদান করলে ১৯৭১ সালেল মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানে বন্দি ছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৪ সালে দেশে ফিরে তিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন স্টেশনে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি সামরিক আদালতের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৭৯ সালে গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে অবসর গ্রহন করেন। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান থাকলেও শেষ বয়সে একমাত্র বড় মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন। একমাত্র ছেলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ব বিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র সুজা তানভীর আহমদের মৃত্যুর পর অবসর জীবনে তিনি নিজ এলাকায় ১৯৯৪ সালে জমি দান করেও নিজ অর্থায়নে সুজা মেমোরিয়াল কলেজ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন।
রোববার সকাল ১০ টায় তাঁর গড়া সুজা মেমোরিয়াল কলেজে মরদেহ নিয়ে গেলে কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর শিংরাউলী কবরস্থানে নামাজে জানাজার পূর্বে পরিবার সদস্যরা, কলেজ শিক্ষক ও বিমান বাহিনীল পক্ষে মরহুম অব: গ্রুপ ক্যাপ্টেন সবর উদ্দীন জীবনী ও চাকুরি জীবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন। নামাজে জানাজায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ, আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী উপস্থিত ছিলেন।