গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমে “ইন্দুরকানীতে প্রতিপক্ষের মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও হুমকির অভিযোগ ভিত্তিহীন-সুমিত্রা রাণীদের প্রকাশিত প্রতিবাদের”শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত প্রতিবেদনে আমি (রতন কুমার সিকদার) আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে-তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মনগড়া।
আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, সংবাদে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গ-সুমিত্রা রাণী, বাবুল দত্ত, দুলাল দত্ত, যুগল দত্তসহ তাঁদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য-আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, তা অসত্য, তথ্যবহির্ভূত এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়েছে।
সংবাদে উল্লেখিত জমিটি আমার পৈতৃক সম্পত্তি। দীর্ঘদিন ধরে উল্লিখিত ব্যক্তিরা উক্ত জমিতে অবৈধভাবে ভোগদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমার আইনগত অধিকার রক্ষায় আমি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি-যা সম্পূর্ণ বৈধ ও ন্যায়সঙ্গত প্রক্রিয়া। একে ‘মিথ্যা মামলা’ বা ‘হয়রানি’ হিসেবে প্রচার করা উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, আমি নাকি সুমিত্রা রাণী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়েছি-যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বরং তাঁদের পক্ষ থেকেই বিভিন্ন সময়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি।
পরিত্যক্ত ঘরে আগুন লাগানো বা আত্মহানির নাটক সাজানোর অভিযোগও সম্পূর্ণ মনগড়া, গায়েপড়া ও অসত্য। এ ধরনের ভিত্তিহীন ও পক্ষপাতদুষ্ট সংবাদ প্রকাশ করে আমার সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।
সংবাদ প্রকাশের আগে যদি উভয় পক্ষের বক্তব্য সংগ্রহ করা হতো, তাহলে একতরফা ও ভুল তথ্য প্রচারের সুযোগ সৃষ্টি হতো না। এর ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে এবং আমার ব্যক্তিগত ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুমিত্রা রাণীর বিরুদ্ধে ২০২২ সালে ইন্দুরকানী থানায় ডাকাতি মামলা করেন উপজেলার উত্তর কলারণ গ্রামের বাসিন্দা রুজি আক্তার।
আমি রতন কুমার সিকদার-একজন স্কুলশিক্ষক। কোনো ধরনের ঝামেলা বা সংঘাত চাই না। কিন্তু সুমিত্রা রাণী বিভিন্ন সময় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করে আসছেন।
অতএব, সংশ্লিষ্ট সকল গণমাধ্যমকে বিনীত অনুরোধ করছি-প্রকৃত তথ্য যাচাই করে আমার এই প্রতিবাদটি যথাযথ গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করার জন্য।