নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ জরুরি

এফএনএস
| আপডেট: ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম | প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:১৯ পিএম
নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ জরুরি

আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা নির্বাচনি পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে পারে। অবৈধ অস্ত্রের একটি বড় অংশ সীমান্তপথ দিয়ে দেশে প্রবেশ করে, যা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। পাশাপাশি পুলিশ ও থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের একটি বড় অংশ এখনো অপরাধীদের হাতে রয়েছে, যা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে। এসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কারাগার থেকে মুক্তি পান বেশ কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। এই সন্ত্রাসীদের সহযোগীরাও ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদিকে গোয়েন্দা প্রতিবেদন বলছে, সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এখনো অস্ত্র চোরাচালান চলছে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা এবং ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’-এর সক্রিয় হয়ে ওঠার ব্যাপারে জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সরকার ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে, খুব শিঘ্রই তফসিল ঘোষণার কথা। এরমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী মনোনয়ন ও সারা দেশে অনানুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার রোধ ও নিয়ন্ত্রণসহ একডজন চ্যালেঞ্জ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অবৈধ অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সময় সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্রের প্রবেশ বন্ধ করা, অতীতে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা এবং অপরাধী চক্রকে দমন করার ওপর জোর দিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পৃথকভাবে যৌথ বাহিনী অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। কিছু উদ্ধারও হচ্ছে। সীমান্তপথে অস্ত্রের অনুপ্রবেশ বন্ধেও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও অবৈধ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করছে। এরই মধ্যে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে সামনে রেখে ৬৪ জেলার নতুন পুলিশ সুপারসহ মাঠ পুলিশের কর্মকর্তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুযায়ী, থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে এখনো ১ হাজার ৩৫০টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। নির্বাচনি সহিংসতায় এসব অস্ত্র ব্যবহৃত হতে পারে। তাই নির্বাচনের আগে এগুলো উদ্ধারে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে, চিহ্নিত অপরাধীদের পুনরায় গ্রেপ্তার করতে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের অবশ্যই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। অন্যথায়, আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা কমবে, যা দেশকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে।